যে ১০ টি সেটিং জানলে আপনার ওয়াইফাই রাউটার দিবে সবথেকে ভালো স্পীড এবং সুরক্ষা!

আপনি কি ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন? আমি কিন্তু করি। আচ্ছা ওয়াইফাই নেট ব্যবহারের সুবিধা গুলো কি? অসাধারন গতি সাথে কম মূল্য। আর আসুবিধা? সময় সময় নেট লাইন পুরাই বিদ্যুৎ লাইনের মতো ব্যবহার করে।
একবার গেলে আর কোন খবর থাকে না। তারপরেও আমি বলবো ব্রডব্যান্ড বেস্ট। অন্তত আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার যদি ভদ্রলোক হয় তবে অনেক শান্তিতে নেট চালাতে পারবেন।
এখন সরাসরি কাজের কথায় আসবো। আপনি কি জানেন, যেভাবে আপনি আপনার ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করছেন তার থেকে আরও বেশী সুবিধা ভোগ করে সেটি ব্যবহার করা সম্ভব। কিভাবে?
সবসময় আপডেট রাউটার ব্যবহার করুন। অনেক সময় এমন হয়, আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার ইচ্ছা করে তাদের নিজস্ব রাউটার আপনাকে ধরিয়ে দিবে। যেটা পরে যেয়ে অনেক বিড়ম্বনার কারন হতে পারে। তাই রাউটার কিনবেন নিজের ইচ্ছা মতো দেখে শুনে।
রাউটারটি স্থাপন করবেন এমন একটি স্থানে যেখান থেকে প্রায় সব ঘড়ে সমান ভাবে সিগন্যাল পৌছাতে পারে।
কথাটা কেমন শোনাচ্ছে না? হুম, পাসওয়ার্ড আবার কি মাইনে রাখে? রাখে, কারন আপনি যখন একটা শক্ত পক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন তখন আর
বাইরের কেউ আপনার নেট লাইন ব্যবহার করতে পারবে না। প্লাস পাবেন সিকিউর নেট সার্ভিস।
#৪ ওয়াইফাই চ্যানেল-
সবসময় সঠিক ওয়াইফাই চ্যানেল ব্যবহার করবেন। বেশিরভাগ সার্ভিস প্রভাইডার ২.৪ গিগাহার্জ ব্যবহার করে যেটা সবার জন্য পারফেক্ট নাও হতে পারে।
#৫ পুরনো ডিভাইস ডিসকানেক্ট করে রাখুন-
কথাটার মানে হল, যখন কোন ডিভাইস আর ব্যবহার করবেন না তখন সেটি ওয়াইফাই রাউটার থেকে ডিসকানেক্ট করে রাখুন।
#৬ পিং টেস্ট-
সময় সময় পিং টেস্টের মাধ্যমে আপনার নিয়মিত ইন্টারনেট গতি পরিক্ষা করতে পারেন, আর এ জন্য আপনাকে এই সাইটে যেতে হবে-
http://www.pingtest .net/
#৭ রিস্টার্ট-
অনেক সময় এমন হয় দেখবেন আপনার রাউটার চলতে চলতে হ্যাং করে। আর হটাৎ করেই স্পীড গায়েব বা নেট লাইন ডিসকানেক্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় কিচ্ছু করবেন না জাস্ট রাউটার টা একবার অফ করে অন করুন বা রিস্টার্ট দিন।
#৮ একাধিক রাউটারের ব্যবহার-
অনেক সময় এমন হয়, আপনার ফ্লোরের স্পেস অনেক বড় আর দুর্ভাগ্য বসতো আপনি যে রাউটারটি কিনেছেন সেটি সম্পূর্ণ ফ্লোর কভার করতে পারছে না যার ফলে আপনার নেট স্পীড অনেক কম আসছে। একটি কাজ করুন নতুন আরেকটি বড় দেখে রাউটার কিনুন বা ছোট আরেকটি রাউটার কিনে সেটি ঘড়ের আরেক কোনায় সেট করে নিন।
#৯ একই সিগন্যালের ডিভাইস থেকে দূরে রাখা-
মনে রাখবেন আপনার ঘড়ের কিছু কমন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস আছে জেগুলা ঠিক একই ২.৪ গিগাহার্জ ব্যবহার করে। যেমন, টিভি, কডলেস ফোন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইত্যাদি। আর আপনি যদি সেই একই ডিভাইসের পাসে রাউটার স্থাপন করেন
তবে স্বাভাবিক ভাবেই রাউটার তার নিজস্ব সিগন্যাল দিতে বাধা গ্রস্ত হবে।
#১০ এন্টেনা-
প্রয়োজনের উপরে ভিত্তি করে চেষ্টা করুন এন্টেনা সহ রাউটার কিনতে। আর আপনি চাইলে পুরনো রাউটারের এন্টেনা পরিবর্তন করে নতুন বড় বা আরও উন্নত এন্টেনা লাগিয়ে নিতে পারবেন। এটা করার জন্য আপানাকে নিকটস্থ রাউটার সপ এ যেয়ে কথা বলতে হবে।
আচ্ছা আপনারও কি ঠিক একই সমস্যা ছিল? তবে পরে যেয়ে সেটা থেকে মুক্তি পেলেন কিভাবে? আপনার জানা এমন কোন বুদ্ধি কি আছে যেটা আপ্লাই করলে কাজ হবে? আপনার বুদ্ধি শেয়ার করবেন আমাদের টিউমেন্ট বক্সে।
কোন মতামত বা পরামর্শ থাকলে সেটিও টিউমেন্ট বক্সে দিতে পারেন। পরবর্তীতে আমরা আপনার মতামতের উপরে ভিত্তি করে টিউন দেবার চেষ্টা করবো।
Share:

No comments:

Post a Comment

Popular Posts

Powered by Blogger.

Translate

Labels

Blog Archive

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.