চাকরির আবেদন

সাধারণত চাকরিতে নিয়োগের জন্য পত্রিকা বা ওয়েবসাইট-এ দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এর  পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীরা নির্দিষ্ট পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন । অনেক সময় কোন প্রতিষ্ঠানে  উপযুক্ত কোন পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। তখন একটি আবেদনপত্র লেখার প্রয়োজন হয়। প্রথম ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ যদি নিদিষ্ট করে শুধু জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে উল্লেখ করেন, তখন আবেদনপত্র পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে  না। আবেদনপত্রটি এমন হওয়া চাই যেন নিয়োগকর্তা খুব অল্প সময়েই এটি দেখে আবেদনকারীর সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন যে, আবেদনকারীর যোগ্যতা সংশ্লিষ্ট পদের জন্য প্রাসঙ্গিক কি না এবং তাকে নিয়োগ পরীক্ষায় আমন্ত্রণ জানানো যায় কিনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে একটি আবেদনপত্র হচ্ছে একজন নিয়োগকর্তাকে প্রভাবিত করার একটি প্রাথমিক মাধ্যম, যেখানে প্রার্থী তার গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরবেন যা সংশ্লিষ্ট পদ বা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক। 
আপনার আবেদনপত্র কোনভাবেই এক পাতার বেশী হওয়া উচিত নয়। সাদা কাগজে (A4 Size) কম্পিউটার কম্পোজ করে আবেদনপত্র লিখবেন। বাংলায় হোক বা ইংরেজিতেই হোক অবশ্যই যে কোন একটি অফসিয়াল ফন্ট ব্যবহার করবেন। কোনভাবেই রঙ্গিন এবং মাল্টি সাইজের ফন্ট ব্যবহার করবেন না। নিয়োগ কর্তৃপক্ষ যদি স্বহস্তে আবেদনপত্র লেখার কথা উল্লেখ করেন, তাহলে তা অবশ্যই স্বহস্তে লিখতে হবে।       আবেদনপত্র  বামদিকে লেখা থেকে শুরু করবেন। প্রথমে যাকে উদ্দেশ্য করে আবেদনপত্র লিখবেন তার পদবী, প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা লিখবেন।
এরপর বিষয় লাইন এ আপনি বোল্ড ফন্ট এ উল্লেখ করতে পারেন কোন পদের জন্য আপনি আবেদন করছেন। যেমন: সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র
এরপর আপনি মূল লেখা শুরু করবেন। প্রথম অনুচ্ছেদে উল্লেখ করবেন চাকুরির বিজ্ঞাপনের সূত্র এবং কোন পদের জন্য আবেদন করছেন। যেমন- সবিনয় নিবেদন এই যে, গত ২২ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে  দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম, আপনার অধীনে '
সিনিয়র অফিসার ' পদে লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদে নিয়োগ পেতে জন্য একজন আগ্রহী প্রার্থী।
এর পরের অনুচ্ছেদটিকে আপনি ব্যবহার করবেন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদের বিপরীতে আপনার যোগ্যতা প্রমাণের জন্য। আপনি কেন এই চাকরির জন্য উপযুক্ত তার সঙ্গত কারণ 
সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরতে পারেন। অর্থাৎ আপনার সেসব যোগ্যতা, যেগুলো বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদের জন্য  পরিপূরক। খেয়াল রাখবেন এই অংশটি পাঠ করে যেন  নিয়োগকর্তা আপনাকে অগ্রাধিকার দিতে প্রভাবিত হন।  
এর পরের অনুচ্ছেদ-এ খুব সংক্ষিপ্তভাবে আপনি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা (এক্ষেত্রে ডিগ্রির  নাম ও পাসের করার বছর) উল্লেখ করতে পারেন। আপনার কোন প্রশিক্ষণ থাকলে এবং যদি তা কাঙ্ক্ষিত পদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তবে তা 
উল্লেখ করতে পারেন। আপনি যদিবর্তমানে কোন প্রতিষ্ঠানে  কর্মরত থাকেন অথবা আপনার কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থাকে তা খুবই সংক্ষিপ্তভাবে উল্লেখ করবেন। সেইসাথে যদি অসাধারণ কোন অর্জন থেকে থাকে তবে তা উল্লেখ করতে পারেন।
সবশেষ অনুচ্ছেদটি হচ্ছে আপনার আবেদনপত্র এর উপসংহার। এখানে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করার ব্যাপারে আপনার আগ্রহ ব্যক্ত করবেন। যদি আপনি এ পদে নিয়োগ পান তবে আপনার যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও মেধা কাজে লাগিয়ে আপনি সফলভাবে কাজ সম্পাদন করতে পারবেন  বলে আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করুন। সবশেষে আপনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ কামনা করুন।
আবেদনপত্রের শেষাংশে সই করে তার নিচে সংযুক্তি হিসাবে আপনি যে সকল কাগজপত্র (যেমন: সিভি, সার্টিফিকেটস, ছবি) দিচ্ছেন তার তালিকা দেবেন।

                          যেসব ভুল-ত্রুটি পরিহার করা উচিত 
¤   একই আবেদনপত্র বিভিন্ন নিয়োগকর্তার কাছে পাঠাবেন না।
¤   প্রতিটি আবেদনপত্র আপনাকে যে পদে বা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন তার চাহিদার বিপরীতে সাজাতে হবে।
¤   বানানগুলো সতর্কতার সাথে খেয়াল করুন।
¤   একাধিকবার আবেদনপত্র সংশোধন করুন।
¤   কোন কিছুর সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার পরিহার করুন।
¤   আবেদনপত্রে আপনার সই দিতে ভুলবেন না।
Share:

No comments:

Post a Comment

Popular Posts

Powered by Blogger.

Translate

Labels

Blog Archive

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.