• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Showing posts with label অ্যান্ড্রয়েড. Show all posts
Showing posts with label অ্যান্ড্রয়েড. Show all posts

পকেটে রাখলেই চার্জ হবে স্মার্টফোন

স্মার্টফোন পকেটে রাখলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হতে থাকবে। ব্যাপারটি অদ্ভূত ও আশ্চর্য জনক মনে হলেও এমনই একটি প্রযুক্তি শিগগিরই বাজারে আনতে যাচ্ছে কয়েকটি কোম্পানী। যা মূলত বেতার তরঙ্গকে ব্যাটারি চার্জিংয়ের উপযোগী করে রূপান্তরের মাধ্যমে চার্জিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে স্মার্টফোনের ব্যাটারি চার্জিংয়ের জন্য স্মার্টফোনে বিশেষ একটি রিসিভার এবং একটি অ্যান্টেনা ব্যবহৃত হবে। বিশেষ ধরনের এই অ্যান্টেনা ওয়াইফাই এবং অন্যান্য সেলুলার সিগন্যালকে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত রিসিভার ডিসি পাওয়ারে রূপান্তর করবে।
এটি এক ধরনের তারহীন চার্জিং ব্যবস্থা। এর মধ্যেই পাওয়ার ম্যাট, পাওয়ার প্যাড প্রভৃতির মাধ্যমে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা প্রদান করেছে বেশকিছু কোম্পানি। এমনকি ফার্নিচারেও ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা দিয়েছে আইকিয়া নামের একটি কোম্পানি।
 তবে নতুন এই প্রযুক্তিতে স্মার্টফোন পকেটে থাকা অবস্থাতেই চার্জ হতে থাকবে। শুনতে এখনও অনেকটাই কল্পনার মনে হলেও নতুন এই প্রযুক্তির বাজারে আসতে খুব বেশিদিন সময় লাগবে না বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
এই তারবিহীন চার্জিং ডিভাইস নির্মাণে এনারজাস ও নিকোলা ল্যাবসের মতো ছোট-বড় বেশকিছু কোম্পানি কাজ শুরু করেছে । চলতি বছরে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স শোতে(সিইএস) পরীক্ষামূলক এ চার্জিং পদ্ধতি উপস্থাপিত হয়েছে।
এর মধ্যে এনারজাসের মডেলটি প্রদর্শনীর অন্যতম সেরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির স্বীকৃতি লাভ করে।
চলতি বছরের শেষের দিকে ওয়্যারলেস চার্জার এবং বিশেষ ধরনের ফোন কেসিং ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে নিকোলা ল্যাবসও আগামী বছরের মধ্যেই তাদের ওয়্যারলেস চার্জিং ডিভাইস বাজারে আনার কথা জানিয়েছে। এর জন্য অবশ্য তারা কিকস্টার্টার ক্যাম্পেইনের সহায়তা গ্রহণ করবে।
Share:

এবার পেনড্রাইভে/হার্ড ডিস্কে ইনস্টল করুন অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ কিংবা কিটক্যাট এর আসল অপারেটিং সিস্টেম এবং উপভোগ করুন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস কিংবা গেমস এর মজা পিসিতেই। সাথে এপিকে ফাইল ইনস্টল করার পদ্ধতি তো থাকছেই। (মেগা টিউন)

স্বাগতম, আশা করি সবাই ভালোই আছেন। ভালো না থাকলেও সমস্যা নাই, আমার এই টিউন পড়ে কারও কারও মন হয়তো এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। কারণ আজ আমি সকল সমস্যার সমাধানসহ আলোচনা করব কিভাবে পিসিতে অ্যান্ড্রয়েডের আসল ওএস ব্যবহার করে যেকোনো অ্যাপস বা গেমস ব্যবহার করা যায় / খেলা যায়।
মূল টিউনে যাওয়ার আগে প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সেইসব ভাইদের কাছে যারা আমাদের পূর্বের টিউন ( ইমুলেটর দিয়ে আর কত ব্যবহার করবেন? এখন পিসিতে ইনস্টল করুন অ্যান্ড্রয়েডের ISO সেটাপ ফাইল এবং উপভোগ করুন অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ কিংবা কিটক্যাট এর আসল স্বাদ !) অনুযায়ী Android OS ব্যবহার করে কিছু সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন যার সমাধান আমার জানা ছিল না। ব্স্ততার কারণে আমি এ নিয়ে ঘাটতেও পারিনি। আশা করছি এই টিউন অনুযায়ী আপনারা স্বাচ্ছন্দে পিসিতে অ্যান্ড্রয়েড ওএস ব্যবহার করে অ্যাপ বা গেমস ব্যবহার করতে পারবেন কোনো সমস্যা ছাড়াই। তো আর কথা না বাড়িয়ে আমি মূল টিউনে ফিরে যাচ্ছি।
কেন পিসিতে অ্যান্ড্রয়েড ওএস ব্যবহার করবেন?
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে মোবাইলে যখন অ্যান্ড্রয়েড ওএস ব্যবহার করতে পারছি তবে পিসিতে কেন? কারণ অনেকেই গুগলের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেমটির আপডেট টি এখনও সবাই পাননি। তাই বলে তারা বসে থাকবে। উন্নত বিশ্বের বর্তমান যুগে বসে থাকা খুব বেমানান লাগে, অন্তত আমার কাছে। তাছাড়া অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ছাড়াও তো অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী রয়েছেন। তাদের কি ইচ্ছে হয়না একটি বারের জন্যও অ্যান্ড্রয়েড ওএস ব্যবহার করতে?
কিভাবে পিসিতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবেন?
আপনারা অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যে পিসিতে বিভিন্ন ইমুলেটর যেমনঃ (Bluestaks, youwave) কিংবা এক্সটেনশনের সাহায্যে পিসিতে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন হয় মোটামুটি ভালো মানের একটি পিসি এবং এভাবে অ্যান্ড্রয়েডের আসল স্বাদটাই পাওয়া যায়না। আমি আপনাদের দেখাবো কিংবা পিসিতে ISO ফাইল দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম রান করবেন। তো চলুন শুরু করা যাক 😀
যা যা প্রয়োজনঃ
১. একটি পিসি (ল্যাপটপ কিংবা ডেক্সটপ)।
২. অন্তত 4 জিবির একটি
পেনড্রাইভ / Blank CD or DVD
৩. অ্যান্ড্রয়েড OS
৪. ফ্লাশাবল OS মেকার
সফটওয়ার
অ্যান্ড্রয়েড OS এর দুটো
ভার্সন কিটক্যাট এবং ললিপপ
দুটোর ডাউনলোড লিঙ্ক আমি
দিয়ে দিবো আর ফ্ল্যাশার এর
লিঙ্ক ও নিচে দিয়ে দিচ্ছি। পিসি কিংবা পেনড্রাইভ কিন্তু আমি দিতে পারব না 😛
☼ ললিপপ 5.0.0 OS ডাউনলোড লিঙ্কঃ
(Name: android-
x86-5.0 alpha Version:
5.0.0 | Format: .iso | Size: 250
MB | 32 bit)
☼ কিটক্যাট OS ডাউনলোড
লিঙ্কঃ

(Name: android-x86 Version:4.4-r2 |
Format: .iso | Size: 388 MB | 32
bit)
☼ ফ্ল্যাশারঃ- LINUX LIVE USB Creator
ইনস্টলেশন গাইডঃ
প্রথমে OS দুটোর
যেকোনো একটা ডাউনলোড
করে কোন এক ফোল্ডারে
রাখুন। তারপর Linux Live USB
Creator নামক ফ্ল্যাশার টি
ইন্সটল করুন। ইন্সটল করার পর ওপেন করুন। দেখবেন ফ্ল্যাশার
টি আপডেট চাইবে। Cancel করে
দিন।
তারপর একটি Pendrive/DVD নিয়ে
তা কানেক্ট করুন পিসির সাথে।
ফ্ল্যাশারে দেখবেন অনেক স্টেপ
আছে। প্রথম স্টেপে লেখা
CHOOSE A USB KEY। ক্লিক
করুন আর সাথে সাথে আপনার কম্পিউটারে যতো ড্রাইভ আছে
সব দেখাবে। ওইখানে দেখানো
সব ড্রাইভ থেকে আপনার
Pendrive/DVD সিলেক্ট করুন।
◙ তারপর স্টেপ ২ তে ISO/IMG/ZIP
সিলেক্ট করুন আর আপনার
ডাউনলোড করা OS টি সিলেক্ট
করে দিন। দেখবেন সিলেক্ট
করে ওকে দেয়ার সাথে সাথে
একটি গ্রিন কালারের লাইন কমপ্লিট হবে। প্রবলেম নেই।
◙ এইবার চতুর্থ স্টেপে
স্ক্রিনশটে দেখানো মতো
Format THE KEY IN FAT32 তে
ক্লিক করে পঞ্চম স্টেপে যান।
◙ পঞ্চম স্টেপে দেখবেন একটি
বোল্টের আইকন আছে।
অনেকটা বিজলির মতো।
ক্লিক করুন। ব্যাস, আপনার
কাজ আপাতত শেষ!
◙ একটু পর ফ্ল্যাশাবল OS
বানানো হয়ে গেলে আপনাকে বলা
হবে YOUR DEVICE IS READY TO
F LASH। এইটা দেখালে আপনার
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে
কিংবা গুগল ক্রোমে একটি পেইজ ওপেন হবে। ক্লোজ করে
দিন। আর LINUX LIVE USB
এপটাও ক্লোজ করে দিন।
এইবার আপনার পেনড্রাইভ
দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড OS ফ্ল্যাশ
দেয়ার জন্য আপনি প্রস্তুত। এইবার কম্পিউটারে যা কাজ
আছে সব কিছু শেষ করে
কম্পিউটার অফ করুন।
Pendrive/DVD কানেক্ট করে
রাখবেন।
◙ তারপর অন করুন। দেখবেন
কম্পিউটার অন করলেই সাথে
সাথে বুট মেনুতে যাওয়ার জন্য
প্রত্যেক কম্পিউটারেই একটি
FN কী (Function Key) থাকে।
আমার কম্পিউটারে del ক্লিক করলেই বুট মেনু দেখায়। আপনার
কম্পিউটারের কোনটা ক্লিক
করলে বুট মেনু দেখায় সেটি
নিজেই খুঁজে নিন। বুট মেনুতে ডুকে First Boot Device এ গিয়ে Pendrive/DVD (পেনড্রাইভ ব্যবহার করলে Pendrive এবং ডিভিডি ব্যবহার করলে DVD) সিলেক্ট করুন এবং সেইভ করে পিসি রিস্টার্ট করুন।
◙ পিসি রিস্টার্ট হলে নিচে লেখা দেখবেন Press any key to boot from pendrive/dvd। এরকম আসলে কীবোর্ড থেকে যেকোনো একটি কী প্রেস করুন। দেখবেন কয়েকটি অপশন আসবে-
1. Run Android without Flash
2. VESA Mode
3. Debug Mode
4. Install Android To HardDisk
এই চারটি অপশনের মধ্যে আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে কোন অপশনটি আপনি নির্বাচন করবেন। উল্লেখ্য যে ২ ও ৩ নং অপশন আমাদের দরকার নেই। এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ১ ও ৪ নং অপশন। আসুন দেখে নেই কোন অপশন আপনি নির্বাচন করবেন।
1. Run Android Without Installation : এই অপশনটি ঝামেলার। আপনি যদি এই অপশন নির্বাচন করেন তাহলে কোনো রকম সেটাপ ছাড়াই আপনি অ্যান্ড্রয়েড চালাতে পারবেন। কিন্তু তা কেবল ক্ষণিকের জন্য। পিসি বন্ধ করলে আবারও আপনাকে পেনড্রাইভ বুট করে অ্যান্ড্রয়েড ওএস ব্যবহার করতে হবে। এই অপশন ব্যবহার করে আপনি কোনো অ্যাপ ইনস্টল করলেও তা পিসি বন্ধ করলে মুছে যাবে। এই অপশনটি তারাই ব্যবহার করুন যারা কেবল অ্যান্ড্রয়েড ওএস এর প্রিভিউ দেখতে চান।
4. Install Android To HardDisk : এই অপশনটি প্রথমে একটু সময় সাপেক্ষ হলেও প্রথমটির মতো বারবার বুট করতে হবেনা। এই অপশন ব্যবহার করে আপনি উইন্ডোজ যেভাবে সেটাপ করেন ঠিক তেমনি অ্যান্ড্রয়েডও সেটাপ করতে পারবেন।
আগের টিউনে আমি দেখিয়েছিলাম ১ম অপশন ব্যবহার করার পদ্ধতি। কিন্তু সেই অপশন ব্যবহার করে অনেকেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তাই আমি আপনাদের আজ সম্পূর্ণ সেটাপের টিউটোরিয়াল অর্থাৎ ৪র্থ অপশন ব্যবহার করে কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ওএস ব্যবহার করবেন তা দেখাচ্ছি।
◙ Install Android To Hard Disk সিলেক্ট করার পর যে মেনু আসবে তা তে দুটি অপশন পাবেন-
1. Pendrive
2. Hard Disk
আমি অ্যান্ড্রয়েড ওএস কে পেনড্রাইভে ইনস্টল করব তাই আমি Pendrive সিলেক্ট করছি। আপনি HDD তে ইনস্টল করতে চাইলে HardDisk সিলেক্ট করুন।
◙ Do Not Format অপশন নির্বাচন করুন।
◙ এখন আপনাকে Grub ইনস্টল করার জন্য একটি কনফার্মেশন চাইবে। Yes ক্লিক করুন।
◙ তাহলে ইনস্টলেশন শুরু হয়ে যাবে যা আপনি Progress Bar এ দেখতে পারবেন।
◙ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তাহলে নিচের ছবির মতো Installation Complete বার্তা দেখাবে। অর্থাৎ আপনি সফলভাবে সেটাপ করতে পেরেছেন।
◙ এখন Run Android নির্বাচন করুন।
◙ Time/Date সেট করুন।
◙ এখন টপ রাইট মেনু থেকে Power off নির্বাচন করুন।
◙ এখন আপনি পেনড্রাইভ খুলে ফেলুন। তাহলে পিসি অন করার সময় উইন্ডোজে যেতে পারবেন।
◙ যখন আপনি অ্যান্ড্রয়েড ওএস ব্যবহার করতে চাইবেন তখন কেবল পেনড্রাইভটি বুট করলেই হবে। কারণ আমরা পেনড্রাইভে তা ইনস্টল করে নিয়েছি।
◙ বিঃ দ্রঃ এই পদ্ধতিতে আপনি Windows এর কোনো ক্ষতি না করেই তার পাশাপাশি Android OS ব্যবহার করতে পারবেন।
কিভাবে এপিকে ফাইল ইনস্টল করবেন?
◙ আপনি সরাসরি অ্যাপ ইনস্টলের জন্য প্লে স্টোর ব্যবহার করতে পারবেন।
◙ আপনি যদি ম্যানুয়ালি ইনস্টল করতে চান তাহলে প্রথমে windows os ব্যবহার করে এপিকে ফাইলটি রাখুন যে পেনড্রাইভে / হার্ড ডিস্ক ড্রাইভে অ্যান্ড্রয়েড ইনস্টল করেছেন সেটাতে। তারপর পিসি বন্ধ করে Android OS এ ডুকুন এবং ফাইল ম্যানেজার ব্যবহার করে এপিকে ফাইলটি ডাবল ক্লিক করে ইনস্টল করুন।
অ্যানড্রয়েড ওএস এর কিছু স্ক্রিনসট-
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
Share:

প্যাটার্ন ভুলে গেছেন? দুইটা পদ্ধিতিতে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্যাটার্ন লক খুলে ফেলুন…?

আসসালামুয়ালাইকুম , আশা করি সবাই ভাল আছেন ।
অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীকে অনেক গুলো নিরাপত্তা স্তরের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন রকমের তথ্য নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। লক স্ক্রিন থেকে শুরু করে প্রতিটি অ্যাপলিকেশনের জন্যেও ইচ্ছে করলে একজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারেন নানা রকম নিরাপত্তা স্তর। সাধারণ লক স্ক্রিনের নিরাপত্তায় অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্ম কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করে থাকে। আপনার যদি একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থেকে থাকে তবে নিশ্চয়ই আপনি এতদিনে নিরাপত্তার জন্য লক স্ক্রিনের সিকিউরিটি লেয়ার ব্যবহার করেছেন। বিভিন্ন রকম ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে লক স্ক্রিনের এই সিকিউরিটি লেয়ারে অ্যান্ড্রয়েড এনেছে বিভিন্ন ভ্যারিয়েশন। অক্ষর, ক্রমিক সংখ্যা এবং প্যাটার্ন – রাখা হয়েছে তিন রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে এগুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘প্যাটার্ন লক’, কেননা এতে করে সহজে আঙ্গুল না উঠিয়ে স্মার্টফোনটিকে আনলক করে ফেলা যায়। কিন্তু যদি আপনি আপনার স্মার্টফোনে আপনার ডিফাইন করা প্যাটার্ন লকটি ভুলে গিয়ে থাকেন তবে কি করবেন? চিন্তার কারণ নেই, আজকের টিউটোরিয়ালে আমরা তাই জানার চেষ্টা করব।
 
আজকের টিউটোরিয়ালটি আমি দুই ভাগে ভাগ করেছি। এগুলো হচ্ছে,
১। বেসিক লেভেল; এই পদ্ধতিটি সবাই অনুসরণ করতে পারবেন, এমনকি আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সাথে এখনও ফ্যামিলিয়ার না হয়ে থাকেন তাহলেও।
২। অ্যাডভান্স লেভেল; এই পদ্ধতিটি অ্যাপলাই করার জন্য আপনাকে সামান্য কিছু অ্যাডভান্স বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে, তবে কঠিন কিছুই না।
তাহলে চলুন, শুরু করা যাক।
বেসিক লেভেলঃ
কিছু কিছু স্মার্টফোন লক করা অবস্থায় ফিজিক্যাল আনলক হার্ডওয়্যার বাটন চাপ দিলে প্রথমে স্লাইড লক স্ক্রিনে নিয়ে যায় আবার কিছু কিছু সরাসরি প্যাটার্ন লক স্ক্রিনে নিয়ে যায়, যদিও এই প্রক্রিয়াটি পুরোটাই ‘সেটিংস’ এর নির্ভর করে। যাই হোক, ধরুন আপনি প্যাটার্ন লক স্ক্রিনে আছেন। বার বার ভুল প্যাটার্ন কী দেয়ার পর আপনাকে কিছুটা সময় (৩০ সেকেন্ডের মত) অপেক্ষা করতে বলবে। নিচের স্ক্রিন শটটি দেখুন।
1
এক্ষেত্রে যেহেতু আপনি আপনার ‘প্যাটার্ন লক’ ভুলে গিয়েছেন তাই অপেক্ষা করে লাভ হচ্ছেনা। তাই, ‘Forgot pattern” অপশন সিলেক্ট করুন। নিচের মত স্ক্রিন দেখতে পাবেন, রম বা থিম ভেদে স্ক্রিনের ইন্টারফেস সামান্য পরিবর্তিত থাকতেই পারে তবে মূল বিষয়গুলো বদলাবে না।
2
এরপর ইউজার নেমের স্থানে আপনার সেই জিমেইল অ্যাকাউন্টটির ইমেইল ঠিকানা লিখুন যা আপনি আপনার স্মার্টফোনের সাথে ইন্টিগ্রেটেড করেছিলেন, এবং পাসওয়ার্ডের স্থানে ইমেইলের পাসওয়ার্ডটি দিন। সঠিক তথ্য প্রদানের পর আপনার স্মার্টফোনটি আপনার তথ্য চেক করবে এবং সঠিক হলে আপনাকে নতুন প্যাটার্ন ড্র করার জন্য বলবে। প্যাটার্নটি একবার ড্র করার পর কনফারমেশনের জন্য আপনাকে আবারও একবার ড্র করতে বলবে। ব্যাস কাজ শেষ!!
অসুবিধা সমূহঃ
১। অনেকেই স্মার্টফোনের সাথে এখনও জিমেইল অ্যাকাউন্ট ইন্টিগ্রেটেড করেন না, হয়ত বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। অথবা, একবার জিমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের পরে এর পাসওয়ার্ড ভুলে যান। এরকম হলে এই পদ্ধতিটি কাজে আসবে না।
২। আপনার ফোনটি ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড থাকতে হবে। আমি অফলাইনে এই পদ্ধতিটি ব্যবহারের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছি।
একটি সিকিউরিটি ট্রিকসঃ অনেক স্মার্টফোনেই ডিফল্ট ভাবে ইন্সট্যান্ট লক অ্যাকটিভ করা থাকেনা, একটি নির্দিষ্ট সময় সেট করা থাকে। অর্থাৎ, আপনি লক বাটন প্রেস করলেই আপনার স্মার্টফোনটি ইন্সট্যান্ট লক হবেনা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনি লক বাটন প্রেস করলে আর আপনাকে লক কোড/প্যাটার্ন ব্যবহার করতে হবেনা। আপনি ইচ্ছে করলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ‘ইন্সট্যান্ট লক’ অ্যাকটিভ করে রাখতে পারেন। এই সেটিংসের জন্য যা করতে হবে,
১। মেন্যুতে ট্যাপ করুন।
২। সেটিংসে ট্যাপ করুন।
৩। লোকেশন এবং সিকিউরিটি অথবা শুধু ‘সিকিউরিটি’ তে ট্যাপ করুন।
৪। সিকিউরিটি লক টাইমার এবং ইন্সট্যান্ট লক সেটিং প্রয়োজন মত নির্ধারণ করুন।
স্মার্টফোন ভেদে এই নির্দেশনা সামান্য ভিন্ন হতে পারে।
উপরের পদ্ধতি কাজ না করলে আরও একটি বেসিক পদ্ধতিতে আপনি আপনার স্মার্টফোনটি আনলক করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে আপনার স্মার্টফোনটির রিকোভারীতে গিয়ে হার্ড রিসেট করতে হবে। হার্ড রিসেট করার জন্য আপনার স্মার্টফোনের ভলিয়্যুম আপ অথবা ডাউন (একেক স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে একেক রকম) এবং লক বাটন একসাথে চেপে ধরে রাখতে হবে। এরপর ‘রিকভারী’ স্ক্রিন এলে হার্ড রিসেট করে ফেলুন।
অসুবিধাঃ আপনার স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে থাকা ডকুমেন্টস, কন্টাক্টস এবং ম্যাসেজ মুছে যাবে।
অ্যাডভান্স লেভেল
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, ‘বেসিক’ পদ্ধতিতে কাজ হলে ‘অ্যাডভান্স’ পদ্ধতি কেন? কেননা, উপরের দুটি পদ্ধতিরই বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এজন্যেই আমরা অ্যাডভান্স লেভেল ব্যবহার করব। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
এই পদ্ধতিকে আমি অ্যাডভান্স লেভেল বলেলেও মূলত কাজ মোটামুটি সহজই। এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার সময় আমার স্মার্টফোনটি রুটেড ছিল এবং “কাস্টম রিকভারীতে ছিল তবে রুটেড নয়” – এরকম স্মার্টফোনেও কাজ করবে বলে আশা করছি।
সতর্কতাঃ যদিও আমি ইতোমধ্যে চেষ্টা করে সফল হয়েছি এবং কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন হইনি তবুও এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কেউ যদি কোন রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হন তবে এর জন্য প্রিয় টেক এবং আমি কোন ভাবেই দায়ী থাকবোনা।
এই পদ্ধতির জন্য আপনাকে ‘Aroma File Manager’ ফাইল ম্যানেজারটি ডাউনলোড করতে হবে। আপনি এখান থেকে এটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

চলুন পদ্ধতিগুলো ধাপে ধাপে জেনে নেয়া যাকঃ
আমি ধরে নিচ্ছি আপনার স্মার্টফোনটিতে কাস্টম রিকভারী দেয়া আছে এবং আপনি প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড ভুলে গিয়েছেন।
১। ফাইল ম্যানেজারটি ডাউনলোড করুন, এক্সট্র্যাক্ট করবেন না।
১। স্মার্টফোনের মেমরী কার্ড খুলে মেমরী কার্ডের সাহায্যে অ্যারোমা ফাইল ম্যানেজারটি মেমরী কার্ডে প্রবেশ করান। মেমরী কার্ডের কোন ফোল্ডারে রাখবেন না, ফাইলটি মেমরী কার্ডের রুটে রাখুন।
২। আপনার ফোনটি রিকভারীতে রিবুট করুন।
৩। CWM এর ক্ষেত্রে, সবগুলো পার্টিশন মাউন্ট করুন, এমনকি আপনার যদি কোন sd-ext পার্টিশন থেকে থাকে তবে সেটিও মাউন্ট করুন। এবং এরপর ফাইলম্যানেজারটি ফ্ল্যাশ করুন। ফ্ল্যাশ করার সাথে সাথে দেখবেন ফাইল ম্যানেজারের একটি গ্র্যাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস চলে এসেছে।
৪। এখন, /data/system – এ প্রবেশ করুন। এক্ষেত্রে, আপনার যদি কোন sd-ext পার্টিশন থেকে থাকে তবে /sd-ext/system – এ প্রবেশ করুন।
৫। আপনি একটি gesture.key নামের ফাইল দেখতে পারবেন, মুছে দিন। আর যদি আপনি পাসওয়ার্ড মুছে দিতে চান তবে password.key মুছে দিন। ব্যাস হয়ে গেল।
খেয়াল করুন, ৩ নম্বর প্রক্রিয়া থেকে TWRP রিকভারীর ক্ষেত্রেও একই হবে। আর স্টক রিকভারীতে যেহেতু মাউন্ট অপশন থাকেনা তাই সরাসরি ফাইলম্যানেজারটি রিকভারী থেকে ফ্ল্যাশ করে ৪ এবং ৫ নম্বর প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।
আশা করি, আজকের টিউটোরিয়ালটি অনেকের কাজেই আসবে। অ্যাডভান্স পদ্ধতিটির ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানে কাজ করবেন। আর আমি সবগুলো পদ্ধতিই নিজে প্র্যাকটিক্যাল করে দেখেছি তাই যদি কেউ সফল না হয়ে থাকেন তবে পদ্ধতিগুলো ভুল না ভেবে আবারো ধীরে সুস্থে চেষ্টা করুন। ভালো থাকুন সবাই।
Share:

Popular Posts

Powered by Blogger.

Translate

Labels

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.