32 বিট(x86) ও 64 বিট(x64) প্রসেসর কি?

ইদানিং আমাদের মোবাইল প্রসেসরের ক্ষেত্রে নতুন একটা টার্ম যুক্ত হয়েছে। আর সেটা হল প্রসেসর কি 32 bit এর নাকি 64 bit এর! তো আমরা যারা পিসি সম্পর্কে হালকা পাতলা জানি, তারা এই 32 bit এবং 64 bit এর কথা আগেও দেখেছি। দুটোর মূল কাহিনি একই। তো কি সেই কাহিনী 32 bit বা 64 bit প্রসেসরের! জানতে হলে পড়তে হবে বাকিটুকু!

আমি প্রথমে একটু ইতিহাস বলে নিই। এতদিন মোটামুটি যা মোবাইল দেখেছেন যা ব্যবহার করেছেন তার সবই 32 bit প্রসেসরের। প্রথম 64 bit কোন মোবাইল ছিল বলতে পারেন? না পারলেও সমস্যা নেই, কারণ ওটা কোন অ্যান্ড্রয়েড ছিল না, ছিল iPhone 5s. তো আমরা মূল আলোচনায় আসি এবার।

প্রসেসর কি?
যে অ্যাকটিং করে সে যেমন অ্যাকটর, তেমনি যে প্রসেস করে সে হল প্রসেসর। এর কাজ হল প্রসেস করা।
কি প্রসেস করে?
ডাটা প্রসেস করে। কিসের ডাটা এই প্রশ্নটা যদি মাথায় আসে তাহলে আস্তে আস্তে বলি(কেউ যদি শুনে ফেলে!) আপনি যখন মোবাইল স্ক্রিনে একটা টাচ করে মোবাইলকে কমান্ড দেন এবং মোবাইল আপনাকে মূহুর্তেই তা করে আপনাকে শো করে তখন প্রসেসর আপনার কমান্ড তথা ডাটাকে প্রসেস করে আপনার কমান্ড মত কাজ করে ফলাফল দেখায়। সোজা বাংলায় আপনার কমান্ডই প্রসেসরের জন্য ডাটা! এই জন্য নিজেকে কমান্ডারও ভাবতে পারেন, ডাটাম্যানও ভাবতে পারেন।

 প্রসেসর রেজিস্টার

এই জিনিসটা সম্পর্কে আগে একটু জানতে হবে। প্রসেসর রেজিস্টার হল একটা খুব ক্ষুদ্র ভার্চুয়াল মেমরী যা প্রসেসরের সাথে যুক্ত থাকে। CPU কাজ করার সময় এর ড্যাটাগুলো রেজিস্টারে এনে জমা করে। এটির কাজ একটা উদাহরণ দিলেই ধবধবে পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমরা কুয়া থেকে পানি একটা ড্রামে ভরতে চাই, কিভাবে ভরবো? খুব সোজা একটা বালতি দড়িতে বেঁধে কুয়ায় ফেলবো এরপর সেটা ভরে তুলবো এবং ড্রামে ভরতে থাকবো। প্রসেসর রেজিস্টারও সেই কাজটাই করে

32 bit প্রসেসর কি?

32 bit প্রসেসরের প্রসেসর রেজিস্টার 32 bit, তাই এটাকে 32 bit প্রসেসর বলে। ক্লিয়ার না? ঠিক আছে আরো ভেঙ্গে বলি, কুয়া থেকে আপনি ৩২ বিট এর ডাটা প্রসেসরকে দিতে পারবেন কারণ আপনার হাতে রয়েছে একটি সুদৃশ্য 32 bit এর RFL বালতি থুক্কু প্রসেসর রেজিস্টার!

তো এবার আমার প্রশ্ন, 64 bit প্রসেসর কি?

একই কাহিনী, এবার শুধু 64 bit এর বালতি কিংবা প্রসেসর রেজিস্টার হবে।

32 bit vs 64 bit

যত বড় বালতি তত বেশী সুবিধা! কি কি সেই সুবিধা!

  1. 32 bit এর কোন প্রসেসরই 4 GB এর উপর RAM সাপোর্টেড না। আর প্র্যাকটিক্যালি 4 GB RAM দেয়া হলেও ব্যবহৃত হবে 3.2 GB। অন্য দিকে 64 bit এর প্রসেসর তাত্ত্বিকভাবে 17 billion GB RAM সাপোর্টেড ! মতান্তরে  ১৬ Terabyte!! কিন্তু বাস্তবে উইন্ডোজ পিসিতে সর্বোচ্চ 192GB RAM ব্যবহার করা হয় (লাইসেন্সই ওতটুকু:P)64bit vs 32bit

  2. 32 bit প্রসেসর একটু স্লো মনে হবে 64 bit প্রসেসরের তুলনায়। তাছাড়া x64 প্রসেসর RAM প্রায় সম্পূর্ণ ব্যবহার করে।

  3. প্রতিটা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য 32 bit প্রসেসরের চেয়ে 64 bit প্রসেসর বেশী জায়গা allocate করতে পারে( দুঃখিত allocate এর বাংলা এখানে ব্যবহার করতে না পারায়)। ফলে এপ্লিকেশনও অনেক ফাস্ট হবে।

    PT_64bit_vs_32bit_large

  4. সার্বিকভাবে Efficiency বাড়তি থাকবে 64 bit এর প্রসেসরে। x64 বিটে আরো কিছু বাড়তি সুবিধা আছে, যেমনঃ kernel Protection

এখানে আরো কিছু কথা আছে। 64 bit এর প্রসেসরে 32 bit এর সব কিছু যেমন রম, অ্যাপ চলতে পারে কিন্তু 32 bit এর প্রসেসরে 64 bit এর কিছুই চলবে না, সেটাকে 32 bit এর জন্য অপটিমাইজ করতে হবে। আর অ্যান্ড্রয়েড Lollipop পুরোপুরি 32 bit এবং 64 bit উভয়ের জন্য অপটিমাইজ করা। এটাই প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন যেটা 64 bit এর জন্য অপটিমাইজড।

Share:

No comments:

Post a Comment

Popular Posts

Powered by Blogger.

Translate

Labels

Blog Archive

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.