কম্পিউটার এর কিছু পরিচিত এবং জানা অজানা সমস্যা যেভাবে সমাধান করবেন নিজে নিজেই (মেগা টিউন)

আপনি এক যুগের পুরনো পিসি ব্যবহার করেন কিংবা নিজস্ব কাস্টোম বিল্ট পিসি ব্যবহার করেন, কিংবা অন্য যেকোনো ধরনের পিসি ব্যবহার করেন না কেনো, পিসির ট্রাবলশুটিং হলো আপনার প্রাত্যহিক কমপিউটিং জীবনেরই একটা অংশ। আর তাই টিউনারপেজের এ লেখাটি উপস্থাপন করা হয়েছে পিসির সাধারণ সমস্যা যেভাবে নিজেই সমাধান করতে পারবেন, তার ওপর ভিত্তি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী সাধারণ পিসি ব্যবহারকারীরা যে ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন, সেসব সমস্যার মধ্য থেকে অন্যতম ১০টি সমস্যার সামাধান ব্যবহারকারী নিজেরাই করতে পারবেন। এগুলোই তুলে ধরা হয়েছে এ লেখায়।
প্রথমে যা চেষ্টা করতে হবে
পিসির ট্রাবলশুটিংয়ের যেকোনো কাজ শুরু করার আগে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তাহলো পিসি রিস্টার্ট করা, যা হয়তো আমরা অনেক সময় বিবেচনায় আনি না। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল সাপোর্ট বিশেষজ্ঞ ম্যাথিও প্যাটরি বলেন, বেশিরভাগ কমপিউটার ব্যবহারকারী সাধারণ সাদামাটা কৌশল প্রয়োগ করে তার পিসির সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দিস লং-স্ট্যান্ডিং ম্যাক্সিম ক্যান ওয়ার্ক ওয়ান্ডার’।
অপারেটিং সিস্টেমের আপডেটের জন্য নিয়মিতভাবে সিস্টেম চেক করা এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেননা এ কাজটি করতে ভুলে গেলে পিসির পারফরম্যান্সে বেশ ক্ষতি হতে পারে। পিসি ব্যবহারকারীদের উচিত কাজ করার সময় অপারেটিং সিস্টেম যাতে পুরোপুরি আপডেট থাকে, তা নিশ্চিত করা। এজন্য উইন্ডোজ আপডেট রান করানো উচিত। আপডেটের ব্যাপারে অবহেলা বা অসতর্ক থাকার কারণে আপনি বঞ্চিত হতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ বাগ এবং পারফরম্যান্স ফিক্স থেকে।
যদি আপনার সমস্যাটি পেরিফেরাল সংশ্লিষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে সমাধানের জন্য পেরিফেরালের সুইচ অন-অফ করে দেখতে পারেন। যদি এতে কাজ না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসকে ডিসকানেক্ট করে আবার কানেক্ট করুন। এতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে শেষ প্রচেষ্টা হলো সর্বশেষ ভার্সনের ড্রাইভার ডাউনলোড করে রিইনস্টল করুন।
কমপিউটার ধীরে কাজ করে
ধীরগতির কমপিউটার ফিক্স করার প্রথম পদক্ষেপ হলো মেশিন ভেরিফাই করে দেখা যে সমস্যার প্রকৃত উৎস কোথায়? ভিডিও সেকেলে হয়ে গেলে এবং ওয়েবসাইট লোড হতে প্রচুর সময় নিলে ধরে নিতে পারেন সমস্যার কারণ আর যাই হোক আপনার কমপিউটারের ত্রুটির জন্য হয়নি। গিক স্কোয়াড (Geek Squad) এজেন্টের ড্রেক মিয়েস্টার (Derek Meister) দাবি করেন, অনেক ব্যবহারকারী ভুল করে ধীরগতির সিস্টেমকে শনাক্ত করেন সমস্যা হিসেবে, যা মূলত কমপিউটারের সমস্যা নয় বরং ব্রডব্যান্ড কানেকশনের সমস্যা। যার কারণে ডাউনলোড হতে দীর্ঘ সময় নেয়। ধীরগতির কানেকশনকে ডায়াগনাস করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন Speedtest.net নামের এক টুল।
যদি সমস্যাটি আপনার পিসির হয়ে থাকে, তাহলে চেক করে দেখুন আপনার অপারেটিং সিস্টেম যে ড্রাইভে আছে, সেখানে পর্যাপ্ত স্পেস রয়েছে কি না। যখন সিস্টেম রানিং অবস্থায় থাকে, তখন উইন্ডোজের জন্য যথেষ্ট স্পেস দরকার হয়, যাতে ফাইল তৈরি করা যায়। যদি হার্ডডিস্কের স্পেস সর্বোচ্চ মাত্রায় ব্যবহার হয় এবং ডাটা ধারণ করার মতো কোনো স্পেস ফাঁকা না থাকে, তাহলে পিসির পারফরম্যান্স কিছুটা ব্যাহত হবে। এমন অবস্থায় কিছু স্পেস পরিষ্কার করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
যদি কমপিউটারের অপারেটিং সিস্টেম সি : ড্রাইভে প্রয়োজনের তুলনায় প্রচুর উপাদানসহ অবস্থান করে, তাহলে কিছু স্পেস খালি করলে অপারেটিং সিস্টেমের পারফরম্যান্স কিছুটা বাড়তে পারে। মাইক্রোসফটের সিস্টেম কনফিগারেশন টুল পরবর্তী সেরা প্রচেষ্টা হতে পারে ধীরগতির পিসির পারফরম্যান্স সমস্যাকে কুপোকাত তথা মোকাবেলা করার। মেশিন বুটআপের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রচুর অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়, যা বুটআপ সময়কে দীর্ঘায়িত করে। বিশেষ করে তুলনামূলকভাবে পুরনো ও ধীরগতির পিসির ক্ষেত্রে। স্টার্টআপ আইটেমকে ছেঁটে পরিপাটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এজন্য Windows-R চেপে টুল ওপেন করুন। এবার msconfig টাইপ করে এন্টার চাপুন।
এবার পিসির পারফরম্যান্স দমনকারী সম্ভাব্য কারণগুলো চিহ্নিত করার সেরা উপায় হলো স্টার্টআপ আইটেম এবং ম্যানুফেকচারার কলামগুলো চেক করা এবং সম্ভাব্য উপাদানগুলো নিরাপদে ডিজ্যাবল করা। মাইক্রোসফট কর্পোরেশন যেসব সার্ভিস ও প্রোগ্রামকে ম্যানুফেকচারার আইটেম হিসেবে লিস্টেড করেছে, সেগুলোর সাথে যাতে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু কিছু আইটেম যেমন AdobeAAMUpdates গুগল আপডেট, প্যান্ডো মিডিয়া বুস্টার, স্পোটিফাই এবং স্টিম ক্লায়েন্ট বুট স্ট্র্যাপার ইত্যাদি সবই গেম, যদি আপনি নিশ্চিত হতে না পারেন কোন সার্ভিস বা প্রোগ্রাম ডিজ্যাবল করা যাবে, তাহলে তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
মেশিন বারবার রিস্টার্ট হলে
হার্ডওয়্যার সংশ্লিষ্ট সমস্যা ডায়াগনাস ও সমাধান করা বেশ জটিল। প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি উইন্ডোজের সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহার করছেন কী-না, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমপিউটার রিস্টার্ট করবে ইনস্টলেশনের সময়। এরপর সিস্টেম ড্রাইভার আপডেটের জটিল সব কাজ করুন। যেমন গ্রাফিক্স কার্ড, মাদারবোর্ড এবং নেটওয়ার্ক কার্ড ড্রাইভার ইত্যাদি সব।
গিক স্কোয়াডের মিয়েস্টার বলেন, মেশিন বারবার রিস্টার্ট হওয়ার পেছনে কারণ হতে পারে কখনও ভাইরাসজনিত, কখনও অ্যাডওয়্যারজনিত, কখনও কখনও সিস্টেম খুব বেশি গরম হওয়ার কারণে। আবার কখনও হতে পারে ভিডিও কার্ডের কারণে। ভিডিও কার্ড আপগ্রেড করলে যেমন সমস্যার সমাধান হতে পারে, তেমনই এখানে উল্লিখিত কাজগুলো খুব সহজে সমাধান হতে পারে।
ইদানীংকার কমপিউটারের সাথে সম্পৃক্ত থাকে সেইফগার্ড, যা সিস্টেমকে শাটডাউন করে যদি কোনো কম্পোনেন্ট খুব গরম হয়ে পড়ে। সিস্টেম খুব বেশি গরম হয়ে পড়লে ঘন ঘন রিস্টার্ট হতে পারে, বিশেষ করে যখন প্রচুর রিসোর্স ব্যবহারকারী প্রোগ্রাম যেমন ইনটেনসিভ প্রোগ্রাম বা ভিডিও গেম রান করে সুদীর্ঘ সময় ধরে।
ডেস্কটপে পপআপ অ্যাডস আবির্ভূত হওয়া
ওয়েব ব্রাউজার রান না করার পরও যদি পপআপ অ্যাড দেখায়, তাহলে ধরে নেয়া যায় সম্ভবত আপনি অ্যাডওয়্যার ইনস্টল করেছেন। অ্যাডওয়্যার হলো একটি প্রোগ্রাম, যা অনাকাঙিক্ষত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। যদিও কিছু ক্ষতিকর নয় এমন অ্যাডওয়্যার বিদ্যমান রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যাডওয়্যাগুলো তেমন ভালো নয়। অ্যাডওয়্যার থেকে সহজে পরিত্রাণের কোনো উপায়ও নেই।
বর্তমানে শত শত ছোট সিস্টেম ইউটিলিটি টুল রয়েছে আমাদের চারপাশে, যা দাবি করে সবকিছু পরিষ্কার করতে পারে, যেমন পিসি স্পিডআপ, পিসি স্পিডপ্রো, পিসি স্পিডফায়ার ইত্যাদি। কিন্তু গিক স্কোয়াডের মিয়েস্টার বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব প্রোগ্রাম তেমন কার্যকরভাবে কিছুই করতে পারে না যেমনটি এরা দাবি করে থাকে। কিছু প্রোগ্রাম কাজ করে, তবে অন্যগুলো তেমন কার্যকর নয়।
পিসির গতি বাড়ায় বা রেজিস্ট্রি পরিষ্কার করতে পারে এমন কিছু দাবি করা হয় যেসব প্রোগ্রামে, সেগুলো ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বিশ্বস্ত অ্যাডওয়্যার স্ক্যানার, যেমন ম্যালওয়্যারবাইটের অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার টুল। প্রথম কাজ হিসেবে বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে ফুল স্ক্যান রান করুন। যদি এই প্রোগ্রাম অ্যাডওয়্যার খুঁজে বের করতে এবং রিমুভ করতে না পারে, তাহলে ফ্রি টুল ম্যালওয়্যারবাইটের অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। এই টুল সব ধরনের ম্যালওয়্যার রিমুভ করতে পারে কার্যকরভাবে। তবে এই টুল রান করার আগে স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ডিজ্যাবল করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
মাল্টিপল অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম একই সময়ে রান করালে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে ফ্যালকন নর্থওয়েস্টের প্যাট্রিস বলেন, আপনার দরকার সিস্টেমে একটি সক্রিয় রিয়েল-টাইম অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যানার ইনস্টল করা। তবে একটি বাড়তি ‘অন ডিম্যান্ড’ ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার স্ক্যানারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। যদি আপনার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তাহলে আপনার সামনে সব সময় একটি অপশন রয়েছে, তাহলো সিস্টেম রিইনস্টল করা পুরোপুরিভাবে। তবে এ কাজটি সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় নিতে পারে। তবে এটি একমাত্র নিশ্চিত উপায় অ্যাডওয়্যার বা স্পাইওয়্যার রিমুভ করার। তবে যাই করুন না কেনো, আপনার পার্সোনাল সব ফাইল ব্যাকআপ করার কথা সবসময় মনে রাখা উচিত।
গুগলকে ঠিক মনে না হওয়া
ব্রাউজার হাইজ্যাকারেরা হলো সবচেয়ে জঘন্য বা বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার বিস্তারকারী। এ ধরনের প্রোগ্রাম আপনার ওয়েব ব্রাউজার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং গোপনে আপনার গুগল সার্চ রিডাইরেক্ট করে ও অন্যান্য কোয়েরি ভুয়া পেজে নিয়ে যায়, যার অর্থ হলো পার্সোনাল তথ্য হাতিয়ে নেয় বা আপনার সিস্টেমকে আবার আক্রান্ত করে।
এমন অবস্থায় নিরাপদ থাকার সেরা কৌশল হলো রিয়েল-টাইম অ্যান্টিভাইরাস রান করানো। যদি আপনার ব্রাউজার ইতোমধ্যেই হাইজ্যাক হয়ে থাকে, তাহলে ব্রাউজারকে আনইনস্টল করুন এবং আপনার অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামের সাথে ম্যালওয়্যারবাইট প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে অপসারণ করার জন্য।
ওয়াই-ফাই কানেকশন বিচ্ছিন্ন হলে
অসম গুণের ওয়্যারলেস কানেকশন আপনাকে হতবিহবল করতে পারে। ওয়্যারলেস সংযোগ কী কমপিউটারের সাথে? রাউটারের সাথে? আপনার আইএসপির সাথে? ইত্যাদি প্রশ্ন বিবেচনায় আনতে হবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারকে অভিযোগ জানানোর আগে। উইন্ডোজ নেটওয়ার্ক ডায়াগনাস টুল সব সময় আপনার সমস্যা সমাধান করতে নাও পারে।
তবে এটি সচরাচর আপনাকে দেখিয়ে দিতে পারে সঠিক ডিরেকশন। প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার কমপিউটার ওয়্যারলেস রাউটারটি সীমার মধ্যে আছে কি না। দুর্বল সিগন্যালের অর্থ হচ্ছে দুর্বল সংযোগ। এরপর আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে, পিসির ওয়্যারলেস কার্ডের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে সর্বশেষ ড্রাইভার। এবার টাস্কবারে ওয়াই-ফাই আইকনে ডান ক্লিক করে সিলেক্ট করুন Troubleshoot problems।
প্রিন্টার কাজ করছে না
ধরে নিচ্ছি আপনার প্রিন্টার ড্রাইভার আপ-টু-ডেট এবং পেপার ট্রেতে যথেষ্ট কাগজ যেমন আছে, তেমনই কালি বা টোনারও কাজ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত। তারপরও প্রিন্ট হচ্ছে না। এমন অবস্থায় প্রিন্টারকে অফ ও অন করুন। প্রিন্টারকে আনপ্লাগ করে আবার প্লাগ করুন। সিস্টেম ট্রেতে প্রিন্টার আইকনের খোঁজ করুন এবং প্রিন্টারের প্রিন্ট কিউই চেক করুন। এরপর প্রিন্ট কিউইতে ডাবল ক্লিক করুন। প্রিন্ট কিউই প্রতিটি কাজের স্ট্যাটাস যেমন দেখাবে, তেমনই প্রিন্টারের সাধারণ স্ট্যাটাসও দেখাবে।
প্রিন্টার সমস্যা ট্রাবলশুট করার সেরা উপায় হলো প্রিন্ট কিউই চেক করা। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ওটংব চৎরহঃবৎং ঙভভষরহবহ সিলেক্ট করা নেই। এজন্য খেয়াল করে দেখুন যে ‘Use Printer Offline’ চেক করা নেই। কখনও কখনও প্রিন্টার অফ থাকাকালে প্রিন্ট করলে উইন্ডোজ প্রিন্টারকে অফলাইনে সেট করে, যাতে অফলাইনে কাজ করতে পারে, যা আপনার কাজকে অন্তরালে রাখে এবং পরে পাঠায় প্রিন্টের জন্য।
ই-মেইল অ্যাটাচমেন্ট ওপেন করতে না পারা
কখনও কখনও অ্যাটাচমেন্ট ফাইলকে ওপেন করা যায় না। এমন সমস্যার কারণ হলো অ্যাটাচমেন্ট ফাইল ভিউ করার জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার না থাকা। যদি আপনার অ্যাডোবি রিডার বা অন্য পিডিএফ কম্প্যাটিবল প্রোগ্রাম না থাকে, তাহলে আপনি ওই টিপিএস (TPS) রিপোর্ট ওপেন করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সাধারণত সন্দেহ করা হয় .ঢ়ফভ ফাইলকে। এ জন্য আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে ফ্রি পিডিএফ রিডার সফটওয়্যার। যদি সমস্যাটি অন্য ফাইল ফরম্যাটের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে অ্যাটাচমেন্ট ফাইল এক্সটেনশন খোঁজ করে দেখুন, যা আপনাকে বলে দেবে কোন ধরনের প্রোগ্রাম আপনার দরকার।
পিসিতে ফেভারিট প্রোগ্রাম কাজ না করলে
কোনো প্রোগ্রাম পিসিতে কাজ না করলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার আগে প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি যে সফটওয়্যার রান করাতে চেষ্টা করছেন তা অপারেটিং সিস্টেমের সাথে কম্প্যাটিবল কি না। পুরনো সফটওয়্যার উইন্ডোজ ৮-এর ভালোভাবে কাজ নাও করতে পারে। ম্যাক ওএস এক্সের জন্য তৈরি করা অ্যাপ অবশ্যই উইন্ডোজ পিসিতে রান করবে না। একটি ৩২ বিটের প্রোগ্রাম ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমে রান করতে পারে। তবে অন্য কোনো ক্ষেত্রে এটি কাজ নাও করাতে পারে।
মনে রাখবেন, সব ধরনের ফাইল উইন্ডোজে কাজ করে না। উদাহরণস্বরূপ, যেসব ফাইলের এক্সটেনশন .app, সেগুলো বিশেষভাবে ম্যাক ওএস এক্সের জন্য। যদি একটি অনলাইন গেম বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তাহলে ধরে নিতে পারেন এমন সমস্যা হয়েছে সম্ভবত প্রয়োজনীয় প্লাগইনের অভারের কারণে। সাধারণত জাভা ও ফ্ল্যাশ হলো নষ্টের মূল। বেশিরভাগ ব্রাউজার আপনাকে সতর্ক করে দেবে এসব আইটেম ইনস্টল করার জন্য, যদি প্রয়োজন হয়
ডাউনলোড হতে দীর্ঘ সময় নেয়
যদি কানেকটিভিটি সমস্যা থাকে, তাহলে সেরা উপায় হলো Speedtest.net টুল ব্যবহার করা। আপলোড ও ডাউনলোড স্পিড কত তা জানার জন্য স্পিড টেস্ট রান করুন। আদর্শগতভাবে বলা যায়, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের বিজ্ঞাপনে যে স্পিডের কথা উল্লেখ করা হয় তার ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত। যদি স্পিড সলিড মনে হয়, তাহলে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি অসাবধানবশত কোনো কিছু ডাউনলোড বা আপলোড করছেন না। কিছু টরেন্ট ডাউনলোডিং প্রোগ্রাম ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে এবং টাস্কবারের পরিবর্তে সিস্টেম ট্রেতে মিনিমাইজ করুন।
একটি ভালো স্পিড টেস্ট দেবে পিং ডাউনলোড স্পিড ও আপলোড স্পিডের নির্ভুল অ্যাসেসমেন্ট। সুতরাং আপনার নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার চেক করুন। এ ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক কার্ড আপডেট করার অর্থই সব কাজ নয়। তবে আপনার কার্ডের প্রস্ত্ততকারক যদি নতুন ড্রাইভার অফার করে, তাহলে তা ডাউনলোড করে নিন। রাউটার ও মডেম রিসেট করলে কানেকশন সমস্যায় কিছু সহায়তা পেতে পারেন। বেশিরভাগ রাউটার ও মডেমে রিসেট বাটন সম্পৃক্ত থাকে, তবে পাওয়ার ক্যাবল এক বা দুই সেকেন্ডের জন্য খুলে ফেললেও রিসেটের মতো একই কাজ করবে।
তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য পাওয়ার কাট অফ করা ঠিক হবে না বা হার্ডওয়্যার নিজেই ফ্যাক্টরি ডিফল্টে রিসেট হবে। এরপরও যদি সমস্যা থেকেই যায়, তাহলে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
Share:

No comments:

Post a Comment

Popular Posts

Powered by Blogger.

Translate

Labels

Blog Archive

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.