• This is default featured slide 1 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 2 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 3 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 4 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

  • This is default featured slide 5 title

    Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

জাল টাকা চেনার সহজ ৯টি উপায়

জীবনে চলার পথে অনেক সময় অনেকের পকেটে জাল টাকা চলে আসে। মূলত কিছু অসাধু ব্যক্তির জাল নোট তৈরির কারণে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই জাল টাকার নোট চেনা সবার জন্য খুব প্রয়োজন।  পাঠকদের জন্য নিচে জাল টাকার নোট চেনার ৯টি সহজ পদ্ধতি তুলে ধরা হলো।
Jal Taka
১. জাল টাকার প্রথম শর্ত হচ্ছে এই টাকার নোটগুলো নতুন হবে। কারণ জাল টাকার নোটগুলো সাধরণ কাগজের তৈরি তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোট নাজেহাল হয়ে যায়।
২. জাল নোট ঝাপসা দেখায়। আসল নোটের মত ঝকঝকে থাকে না। সেটা নতুন হোক আর পুরাতন হোক।
৩. জাল নোট হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেরে দিলে এই নোট সাধারণ কাগজের মতো ভাঁজ হয়ে যাবে। আর আসল নোট ভাঁজ হবে না। যদিও সামান্য ভাঁজ হবে তবুও তা জাল নোটের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি।
৪. এবার আসুন আসল কথায় আপনি এই মূহুর্তে নতুন (একটি ১০০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও একটি ১০০ টাকা)`র নোট এবং পুরাতন পাঁচশত টাকার নোট হাতে নিন। আর এই বর্ণনার সাথে মিলিয়ে নিন।
৫. উপরে বর্ণিত প্রথম তিনটি নোট সোজা করে ধরুন এবার লক্ষ্য করুণ নোটের বাম পাশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটি সরল রেখা আছে। একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ওটা কোন রেখা নয়। সেখানে স্পষ্টভাবে ইংরেজিতে বাংলাদেশ ব্যাংক “Bangladesh Bank” কথাটা লেখা আছে।
৬. পুরাতন ৫০০ টাকার নোটে বাম পার্শের নিচে সুন্দর নকশা করে লেখা আছে “৫০০” মূলত সেখানে “Bangladesh Bank” কথাটা লেখা আছে হালকা ও ভারি রং দিয়ে।
৭. টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয়। টাকার দুই পার্শে দু`টো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিনের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তারাতারি ভেঙ্গে যাবে না। আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সাথে সাথেই তা ভেঙ্গে যাবে।
৮. আসল নোট সবসময় খসখসে হবে।
৯. উপরের সবগুলো উপায়ে যদি আসল ও জাল/নকল নোট সনাক্ত করতে কেউ ব্যর্থ হয় তবে তার জন্য সর্বশেষ উপায় “আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট”। এই লাইটের মাথ্যমে সনাক্ত করা খুবই সহজ। আসল নোটে এই লাইটের আলো ধরলে নোটের উপর রেডিয়ামের প্রলেপ জ্বল জ্বল করে উঠবে। জাল নোটে তা হয় না।
Share:

স্মার্টফোন ব্যবহারকরীদের জটিল সমস্যা ও তার ৫টি প্যারাসিটামল সমাধান !

Google Play Store থেকে অনেক সময় কোন গেমস্ বা এপস্ Download করার সময় আমারা Error 498 দেখি । অর্থাৎ “Error 498 has occurred while communicating with the server“ এমন একটি মেসেজ দেখা যায়। অনেকবার চেষ্টা করেও এই Error 498 এর কারনে কোন কিছুই ডাউনলোড করা সম্ভব হয় না । আজকের আলোচনার বিষয় Error 498 এর কারন ও তার ৫টি সমাধান। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক-
গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড সমস্যা? নিয়ে নিন তার ৫টি সমাধান !
গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড সমস্যা? নিয়ে নিন তার ৫টি সমাধান !

Google Play Store Error 498 এর কারন:

০১। এই সমস্যার পিছনে বেশ কিছু কারন রয়েছে। তার মধ্যে সব থেকে কমন হলো ডিভাইসের ক্যাশে পার্টিশন। আপনি তখনই এই সমস্যাটি দেখতে পাবেন যখন আপনার এপস্ এর সাইজ ডিভাইসের ক্যাশ পার্টিশন থেকে বেশি হবে ।
উদাহরন: আপনার ক্যাশ পার্টিশন ৩০ এমবি এবং আপনি যেটি Download করতে চাচ্ছেন তার সাইজ ৩৫ এমবি তখনই আপনি এই সমস্যা দেখতে পাবেন।
০২। আর একটি গুরুত্বপূর্ন কারন হলো গুগল সার্ভিস। আপনি যখন কোন ফাইল Download করার চেষ্টা করছেন তখন সেটি আন্ডার মেইনট্যানেন্স থাকতে পারে। সুতরাং যখন আপনি সেই ফাইলটি Download করার চেষ্টা করবেন তখন সেখানে Error 498 মেসেজ পেতে পারেন। এটা কোন বড় সমস্যা নয়, অপেক্ষা করুন এবং আবার চেষ্টা করুন।

Google Play Store Error 498 এর সমাধান:

সমাধান ০১: ক্যাশ ক্লিয়ার করুন:
আপনার ক্যাশের জন্যই এই সমস্যাটা বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনার ডিভাইসের ক্যাশ ক্লিয়ার করুন।
সমাধান ০২: Download করতে Wifi ব্যবহার করুন:
অনেক সময় ইচ্ছাকৃত ভাবে ইন্টারনেট সংযোগ কারীরা এই সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। সুতরাং ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে Wifi সংযোগ করে নিন।
সমাধান ০৩: নতুন Play Store একাউন্ট ব্যবহার করুন:
Error 498 সমাধানের জন্য আপনি আপনার আগের একাউন্টি মুছেফেলে নতুন একাউন্ট যুক্ত করুন। এটি করার জন্য আপনাকে যেতে হবে Settings > Accounts > Add New Account > Click on Google > Next > Enter email > Done । নতুন একাউন্ট সংযোগ করে আবার Download করতে চেষ্টা করুন।
সমাধান ০৪: কম্পিউটারে সংযোগ করুন:
আপনার মোবাইলকে USB Cable দিয়ে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সংযোগ দিন। Chrome বা FireFox অথবা আপনার পছন্দের যে কোন ব্রাউজার দিয়ে Google Play Store এ প্রবেশ করুন। সেখান থেকে নতুন করে আপনার পছন্দের ফাইলটি ডাউনলোড করুন এবং আপনার স্মার্টফোনটিকে দেখিয়ে দিন। আশা করছি এই সমস্যা দুর হবে।
সমাধান ০৫: Google Play store Uninstall করুন ও পুনরায় Install করুন।
সব শেষে কোন সমাধান খুজে না পাওয়া গেলে আপনার Google Play Store টি আপনার ডিভাইস থেকে Uninstall দিন ও আপনার ডিভাইস রিস্টার্ট দিয়ে আবার Install করুন। আশা করছি আপনি এর সমাধান পাবেন।
Share:

Bootable usb pendrive using cmd

Creating a usb pendrive using command prompt is not hard, it is one of the most common ways to create a bootable usb.
      This method does not work if your operating sistem is windows xp or windows 8 , you cannot select the primary partition in comand prompt.
       You just need to follow these simple steps:
  1. First step is to obtain the windows files from somewhere and save them to a folder in your pc. You can rip a windows dvd , or if you have the iso image file you can open it with magic disc or daemon tools or even winrar , and you need to copy the whole content to a folder anywhere in your pc , you just need to make sure you know where it is located.
  2. Make sure your usb stick is inserted, go to start search cmd , right click the  file and select run as administrator. The command prompt will appear, now you need to write the following comands:
  3. diskpart→list disk→select disk 1(chose  the usb device, you will recognize it by its size)→clean(this will erase the usb)→create partition primary→select partition 1→active→format fs=ntfs(this will format the usb drive and will take 10-15 minutes)→Untitled 5
  4. After the format is done you have to continue writting  in command promt :  →assign(now you will notice that the usb drive changed its letter to (H): or (G))→exit(this command will exit the disk part function)
  5. Now you have to write the path to the executable file in your windows saved folder , make sure that in your windows folder you have the boot folder with the bootsect executable file.Untitled 8
  6. In my case the command goes like this:   E:→cd win 7 sp1→
           →cd boot→bootsect.exe/nt60 h:(h is the letter of the usb drive ,this comand will update the boot core)→exit (this will exit command prompt).
Untitled 6
  1. Now you have to copy all the files in the windows folder to your usb drive. Untitled 7
  2. ALL DONE. You can now restart your pc and boot from the usb hard drive.
Share:

আজ প্রকাশ হচ্ছে এইচ এস সি (HSC) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল

আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই
আশা করি সবাই ভাল আছেন  !  আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।


বন্ধুরা এইবার যারা এইচ এস সি, আলিম, ভোকেশলান পরীক্ষা দিয়েছ তোমাদের পরীক্ষার ফলাফল কিছুক্ষণের মধ্যে সকাল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিভিন্ন শিক্ষা বের্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন।  গতবারের ন্যায় এবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ই-মেইল এর মাধ্যমে ফলাফল পাঠানো হবে।  শিক্ষাবোর্ড সমূহের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ই-মেইল আইডি তৈরী করা হয়েছে। তাছাড়া আপনারা চাইলে অনলাইনে আপনাদের এইচ এস সি পরীক্ষা ২০১৫ এর ফলাফল চেক করতে পারেন।


সবার আগে ফলাফল জানতে ক্লিক করেন



জানি অনেকেই টেনসনে আছেন। বিশেষ করে যাদের রেজাল্ট আজ পাবলিষ্ট হবে। ভয়ের কোন কারন নেই দোয়া করি সবার রেজাল্টই যেন ভাল হয়।



ঢাকা সহ সকল বোর্ডের ফলাফলের জন্যঃ

HSC (স্পেস) first 3 latter of your board name (স্পেস)Roll No (স্পেস) Passing year
পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে
Example:1
► HSC <স্পেস> first 3 letter of your board name<স্পেস> Roll No <স্পেস> Passing year
পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে.
►►HSC<Space>DHA<Space>123456<Space>2015 send to 16222
►►► HSC DHA 123456 2015
and send to 16222 .
মাদ্রাসা বোর্ডের রেজাল্টঃ
ALIM (স্পেস) MAD (স্পেস) Roll No (স্পেস) Passing year
পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে
►►► ALIM MAD 123456 2013
and send it to 16222
টেকনিক্যাল বোর্ডের রেজাল্টঃ
HSC (স্পেস) TECH (স্পেস) Roll No(স্পেস)Passing year
পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে
►►► HSC TECH 123456 2013
and send it to 16222
মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করতেঃ
Reg (স্পেস) HSC (স্পেস) first 3 latter of your Board Name (স্পেস)your Roll Number 2012
পাঠিয়ে দিন 16222 নাম্বারে
নিচে সকল বোর্ডের কী ওয়ার্ড দেয়া হল
►DHA = Dhaka Board
►COM = Comilla Board
►RAJ = Rajshahi Board
►JES = Jessore Board
►CHI= Chittagong Board
►BAR = Barisal Board
►SYL = Sylhet Board
►MAD = Madrasah Board
►DIN = Dinajpur Board

আশা করি আমার এই টিউনটা ফলপ্রত্যাশীদের কাজে লাগবে।
সবার ভালো ফলের প্রত্যাশায় শেষ করছি।।

Share:

Play Store Hacked!!!! ডাউনলোড করুন পেইড আপ্পস Play store থেকে

“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”

ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।টিউনটি সম্পর্কে আনেকেই অবগত আছেন, তাই যারা জানেন না তারা ঝটপট জেনে নিন।
আমরা সবাই মোবাইল এ Android paid apps download করতে চাই Play Store থেকে।কিন্তু জখন ই দেখি যে দিতে টাকা পে করা লাগবে তখন ই আমরা তিন হাত পিছায় যাই।তো এখন কি করবেন তাহলে কি আপনি আপনার ফোন এ paid apps downloa  করতে পারবেন না!!!।কে বলছে পারবেন না।অবসসই পারবেন।আমি আছি কি করতে!
আজকের টিউটোরিয়ালে আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি, কিভাবে আপনি আপনা্র ফোন এ Android paid apps download করতে পারবেন without টাকা খরচ।এই কাজটি আপনি খুব সহজেই করতে পারেন। আজকের এই ভিডিও টিউটোরিয়ালটিতে
আমি দেখিয়েছি, কিভাবে আপনি ধাপে ধাপে এই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করবেন।
আশা করি আপনারা সবাই টিউটোরিয়ালটি দেখে উপকৃত হবেন
apps link video এর description এ দেয়া আছে।
যারা জানেন না যে Black Market alpha  কি জিনিস খায় না মাথায় দেয় তারা এটা পরে দেখুন
Blackmart Alpha is an excellent substitute for the Google Play Store, being in possession of a multi-language selection is suitable for any user of any country.
Blackmart Alpha also has the following features that concernano operation:
  • extremely easy, since first use
  • Multilingual option for a global user experience
  • completely free, without the need for any payment methods
  • completely full of downloadable applications
  • fast in downloading and installation of ‘application
Blackmart Alpha contains numerous applications, and you can choose them browsing by category or by searching by a specific department.
Blackmart Alpha is always updated with the latest App published on the web in order to provide all users of the world an experience compatibilitò 360 ° on your Android device.
Share:

আমাদের দেশে অনলাইনে ভোটার হউন a to z টিউটোরিয়াল)

কয়েক দিন আগেও ভোটার আবেদন বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্য সংশোধন ছিল অতি ঝামেলার। জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের ছবি নিয়েও অভিযোগের অন্ত ছিল না। এখন এসব কাজ করা যাবে ঘরে বসেই। অনলাইনে ভোটার হওয়া ও জাতীয় পরিচয়পত্রের আবেদন করা। একই সঙ্গে হারিয়ে গেলে পুনর্মুদ্রণ, কোনো তথ্য সংশোধনের আবেদনও করা যাবে অনলাইনেই।
হউন অনলাইনে
মাউসের নাগালেই করতে পারবেন যা যাঃ
  • * তথ্য সংশোধন ও হালনাগাদ
  • * ঠিকানা পরিবর্তন
  • * ভোটার এলাকা স্থানান্তর
  • * পুনর্মুদ্রণ
  • * ছবি পরিবর্তন
  • * ডাটাবেইসে নিজের তথ্য দেখা
  • * আবেদনপত্রের হাল অবস্থা জানা
যা করতে হবেঃ
নিবন্ধনের জন্য যেতে হবে নির্বাচন কমিশন অফিসের নিচের ওয়েবলিংকে https://services.nidw.gov.bd/registration
এরপর ক্লিক করতে হবে ‘রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করতে চাই’ অংশে। এই সাইট https ফরম্যাটে হওয়ায় আপনার ফায়ারফক্স ব্রাউজার হলে লেখা আসতে পারে This Connection is Untrusted. এ ক্ষেত্রে সমাধান হলো প্রথমে ‘I Understand the Risks’-এ ক্লিক করুন। এরপর On the warning page…লেখা আসবে। ‘I Understand the Risks’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘Add Exception’-এ ক্লিক করে পরে ‘Confirm Security Exception’-এ ক্লিক করলে একটি পেজ ওপেন (অনলাইন ফরম) হবে।
আপনি ভোটার হয়ে থাকলে বা আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র করে থাকলে নিবন্ধনের জন্য এই ফরমটি পূরণ করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর (এই নম্বরে ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে), ইমেইল ঠিকানা, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে পাসওয়ার্ড দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ১৩ সংখ্যার হলে অবশ্যই প্রথমে আপনার জন্ম সাল দিতে হবে। ধরা যাক, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ৩৯২৮৫০৬৯৫৫৬৫৫ ও জন্মসাল ১৯৮৫। আপনাকে পূরণ করতে হবে ১৯৮৫৩৯২৮৫০৬৯৫৫৬৫৫। ভোটার হওয়ার সময় দেওয়া তথ্য অনুসারে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার ঘরে বিভাগ, জেলা, উপজেলা/থানা নির্বাচন করতে হবে। পাসওয়ার্ড ৮ থেকে ১২ ডিজিটের হতে হবে এবং তাতে থাকতে হবে বড় হাতের অক্ষর ও সংখ্যা। যেমন- tunerpage
সব তথ্য দেওয়ার পর ফরমে দেখানো ক্যাপচা পূরণ করে ‘রেজিস্টার’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এ সময় মোবাইলে একটি অ্যাক্টিভেশন কোড পাঠানো হবে। কোড চাওয়া হলে তা দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনাকে লগ-ইন করতে বলা হবে। এভাবেই করতে হবে নিবন্ধন।
এবার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্ম তারিখ, পাসওয়ার্ডের ও ক্যাপচার ঘর পূরণ করে ‘সামনে’ বাটনে ক্লিক করলে মোবাইলে একটি কোড পাঠানো হবে এবং একটি নতুন ফরম ওপেন হবে। তাতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও মোবাইলে পাঠানো নতুন অ্যাক্টিভেশন কোড দিয়ে লগ-ইন করতে হবে। সঠিকভাবে কোড প্রবেশ করার পর আপনার Account Active হয়ে যাবে। দুই মিনিটের মধ্যে মোবাইলে কোড না আসলে ‘পুনরায় কোড পাঠান’-এ ক্লিক করুন। লগ-ইন করতে পারেন নিচের লিংকে গিয়েও- https://services.nidw.gov.bd/login
তথ্য সংশোধনঃ
লগ-ইন করার পর আপনার পুরো নাম, এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, পিতা ও মাতার নাম, বৈবাহিক অবস্থা প্রভৃতি তথ্য দেখাবে। একই সঙ্গে আসবে তথ্য পরিবর্তন, ঠিকানা পরিবর্তন, ভোটার এলাকা স্থানান্তর, পুনর্মুদ্রণ, ছবি পরিবর্তন, আবেদনপত্রের হাল অবস্থা প্রভৃতি অপশন। এসব অপশন ব্যবহার করে বর্ণনার নিচের অংশে থাকা ‘কার্ডের তথ্য পরিবর্তন ফরমে’ ক্লিক করে তথ্য সংশোধন ও পরিবর্তন করা যাবে।
ভুল তথ্যসংবলিত জাতীয় পরিচয়পত্রের কারণে আপনি বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। এ ছাড়া বাসস্থান পরিবর্তন বা অন্য কোনো কারণে ভোটার এলাকা পরিবর্তন বা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। জাতীয় পরিচয়পত্র পুনর্মুদ্রণেরও প্রয়োজন হতে পারে। চাহিদা অনুযায়ী অপশনে ক্লিক করে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। তথ্য পরিবর্তনের ফরমে তথ্য হালনাগাদ করে সেটির প্রিন্ট নিন। প্রিন্ট করা ফরমে স্বাক্ষর করে সেটির স্ক্যান কপি জমা দিন অনলাইনে। তথ্য পরিবর্তনের সপক্ষে অনলাইনে জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় দলিলের রঙিন স্ক্যান কপি।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি পরিবর্তনঃ
‘ছবি পরিবর্তন’ অপশনে ক্লিক করার পর প্রথমে কম্বো বক্স থেকে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন করতে হবে। ছবি তোলার জন্য স্ক্রিনে উপস্থাপিত ক্যালেন্ডার থেকে সবুজ রঙের তারিখগুলোর মধ্যে নির্বাচন করতে হবে আপনার সুবিধামতো তারিখ। আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থা জানা যাবে ‘আবেদনপত্রের হাল অবস্থা’ অংশে ক্লিক করে।
অনলাইনে ভোটার হতে চান?
ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত না হয়ে থাকলে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। ভোটারের আবেদনের জন্য যেতে হবে নিচের লিংকে-https://services.nidw.gov.bd/newVoter ভোটার তালিকা করার পরে ১৮ বছর বয়সের বেশি হওয়া, প্রবাসী বা বাদপড়া ভোটাররা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে ভোটার হয়ে থাকলে আবার আবেদনের প্রয়োজন নেই। নিবন্ধিত ব্যক্তি আবার আবেদন করলে সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ।
অনলাইনে ভোটার হতে শর্তগুলো ভালো করে পড়ে নিন এবং ‘আমি রাজি ও নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে চাই’-এ ক্লিক করুন। নিবন্ধনের জন্য ধাপে ধাপে সব তথ্য পূরণ করতে হবে। নিজের পূর্ণ নাম ছাড়া সব তথ্য পূরণ করতে হবে বাংলায় ইউনিকোডে। সব ধাপ শেষ হওয়ার পর প্রিভিউয়ের মাধ্যমে আপনার দেওয়া তথ্য আবার যাচাই করে নিন। অনলাইনে পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সেটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে জমা দিন। তথ্য ও ঠিকানা যাচাইয়ের পর তৈরি করা হবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র। আপনার এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করার সময় লাগবে কাগজপত্র জমার সময় দেওয়া রসিদ।
কি কি লাগবেঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম (বাংলা/ইংরেজি) এবং জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য লাগবে এসএসসির সনদপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি না হলে এবং সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত কিংবা কোনো সংস্থায় চাকরিরত হলে চাকরি বই/মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও); অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন সনদ/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ট্রেড লাইসেন্স/কাবিননামার সত্যায়িত অনুলিপি। ধর্ম পরিবর্তন বা অন্য কোনো কারণে নামের আমূল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এসব দলিল ছাড়াও লাগবে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির কপি।
বিয়ে বা বিয়ে বিচ্ছেদ বা অন্য কোনো কারণে কোনো মহিলা তার নামের সঙ্গে স্বামীর নামের অংশ (টাইটেল) সংযোজন বা বিয়োজন বা সংশোধন করতে চাইলে জমা দিতে হবে কাবিননামা/তালাকনামা/মৃত্যু সনদ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পাদিত হলফনামা/বিয়ে বিচ্ছেদ ডিক্রির সত্যায়িত অনুলিপি।
মা বা বাবার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে লাগবে এসএসসি, এইচএসসির সনদপত্র (সনদে মা/বাবার নাম উল্লেখ থাকতে হবে) এবং পিতা, মাতা, ভাই ও বোনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি। মা বা বাবার নামের আগে ‘মৃত’ সংযোজন বা বিয়োজন করতে লাগবে মৃত্যু সনদ বা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি এবং জীবিত থাকার সমর্থনে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। রক্তের গ্রুপ সংযোজন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে লাগবে ডাক্তারি সনদ।
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা বা ভোটার এলাকা পরিবর্তনের (বাসা/হোল্ডিং/গ্রাম/রাস্তা/ডাকঘর) ক্ষেত্রে লাগবে ঠিকানার সপক্ষে বাড়ির দলিল/টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিল/বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্র/বাড়িভাড়া রসিদের সত্যায়িত অনুলিপি। জাতীয় পরিচয়পত্র পুনর্মুদ্রণের ক্ষেত্রে লাগবে সংশ্লিষ্ট থানায় করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) কপি ও সদ্য তোলা ছবি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনে সরেজমিন তদন্ত করবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করতে পারবেন সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গেজেটেড সরকারি কর্মকর্তা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।
Share:

স্মার্টফোন নিরাপদ রাখতে কিছু জানা অজানা টিপস

আপনার স্মার্টফোন, আপনার মানিব্যাগ এর চেয়েও বেশী মূল্যবান। কিছু ক্ষেত্রে এটি আপনার কম্পিউটারের কাজ করে। এতে থাকে অনেক সংবেদনশীল তথ্য ও পাসওয়ার্ড। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষই আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইসটি রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই না। অনেকেই আবার চার অঙ্কের একটি পাসওয়ার্ড দিতেও বিরক্ত বোধ করি।
নিরাপদ রাখতে
লন্ডনের রাস্তায় প্রতিদিন প্রায় ৩১৪টি মোবাইল চুরি হয় আর বাংলাদেশের ঢাকার রাস্তায় কতোটি হয় তা না হয় নিজেই আন্দাজ করুণ। সে যাই হোক এসব কষ্টের কথা কার না বলি। আমারা বরং জেনে নেই কি করে আমাদের এই স্মার্টফোনকে কিছুটা নিরাপদ রাখা যায় সে সম্পর্কে।
সফটওয়্যার আপডেট করুণ:
আপনার স্মার্টফোন এর উইন্ডোজ ও অপারেটিং সিস্টেম সর্বদা আপডেট করুণ। এই আপডেটের ফলে ফোন প্রস্তুতকারক নেটওয়ার্ক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি আপনার কাছে পৌঁছেও দিতে পারে। যদিও এটা একটু কঠিন ব্যাপার কিন্তু অসম্ভব কিছু না। এছাড়াও মোবাইল সফটওয়্যার আপডেটভ থাকলে আপনার ফোন সিকিউরিটি কোড ব্যাবহারের মাধ্যমে বন্ধও করে দিতে পারেন। ফলে আপনার কোনো তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
স্ক্রিন লক ব্যবহার করুন:
প্রতিটি স্মার্টফোনে নিরাপত্তা হিসেবে স্ক্রিন লক করার সুবিধা রয়েছে। পিন, পাসওয়ার্ড কিংবা প্যাটার্ন লক পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার পণ্যটিকে লক করে রাখতে পারেন। স্মার্টফোন সিকিউরিটি সেটিংসে গিয়ে লক সক্রিয় করা যায়। স্বয়ংক্রিয় বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর লক করা বিষয়টিও সেট করা যায়। এটি আপনার তথ্য সমূহকে সংরক্ষণ করবে।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করুণ:
তথ্য ফাঁস হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে ভাইরাস। এটি ফাঁস করে দিতে পারে আবার আপনার মোবাইল ডিভাইজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ভাইরাস স্মার্টফোনের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। তাই স্মার্টফোনের নিরাপত্তার জন্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করুণ।
ডিভাইস এনক্রিপ্ট করুন:
স্মার্টফোন আপনার পণ্যের সব ডাটা এনক্রিপ্ট করার সুবিধা দেয় । স্মার্টফোন এর সিকিউরিটি সেটিংস থেকে ডাটা এনক্রিপ্ট করা যায়। এতে মোবাইল বা ট্যাব প্রতিবার চালু করার সময় ডাটা বা তথ্যে ঢুকতে আলাদা করে পাসওয়ার্ড ও পিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এনক্রিপশন করা থাকলে ফোন যদি দুর্বৃত্তের হাতে পড়ে এবং একবার বন্ধ করে তা আবার চালু করে তবে পিন বা পাসওয়ার্ড ছাড়া তথ্য চুরি করতে পারবে না। ডাটা এনক্রিপশন করলে ফোনের গতি কিছুটা কমে যেতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার সচল করুন:
আপনার মোবাইল ফোন যদি বেহাত হয়ে যায় তখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ফিচারটির কল্যাণে আপনার পণ্যটিকে গুগল ম্যাপে ট্র্যাক করতে পারবেন। এ ছাড়াও মোবাইল ফোনটি চালু থাকলে পূর্ণ ভলিউমে টানা পাঁচ মিনিট কল দিতে পারবেন। এমনকি দূর থেকেই আপনার সব তথ্য মুছে দিতে পারবেন। আপনার মোবাইল ফোনে ডিভাইস ম্যানেজার চালু রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে সেটিংস থেকে সিকিউরিটিতে যেতে হবে। সিকিউরিটি সেটিংসের ডিভাইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থেকে আপনি ডিভাইস ম্যানেজার চালু করতে পারেন।
অ্যাপসেরজন্য পাসয়ার্ড ব্যাবহার করুণ:
আপনার স্মার্টফোন বা ট্যাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অ্যাপস লক ব্যবহার করতে পারেন। গ্যালারি কিংবা মেসেজিংয়ের সুরক্ষা হিসেবে গুগল প্লে থেকে অ্যাপ লক ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনাকে আলাদা করে পাসওয়ার্ড বা পিন কোড সেট করে দিতে হবে যাতে কোন নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে গেলে আগে পাসওয়ার্ড খুলে তারপর ঢুকতে হয়।
Share:

নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে যা খেয়াল রাখবেন (মেগা টিউন)


অনেক দিন ধরে ভাবছেন একটা ল্যাপটপ কেনা দরকার। কিন্তু কোন ব্রান্ড কিনবেন বা কেনার সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হয়তো জানা নেই। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতে পারে।
কেনার সময়
নকশা ও ওজন : আপনি যদি বেশি বেশি ভ্রমণ করেন তখন আপনার জন্য হালকা-পাতলা ল্যাপটপ বা আলট্রাবুক ভালো হবে। ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি মাপের যে ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ চার্জ থাকে সেটি কিনবেন। যদি বাড়ি বা অফিসের কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তবে ১৪ ইঞ্চি বা ১৫.৬ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ কিনুন।
আপনি যদি গেমার বা ছবি ও ভিডিও সম্পাদনার কাজের জন্য ল্যাপটপ চান তবে আপনাকে শক্তিশালী ল্যাপটপ বেছে নিতে হবে। এ জন্য ১৫.৬ বা ১৭ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আপনি যদি সব সময় সঙ্গে করে ল্যাপটপ নিয়ে ঘোরেন তবে আপনার জন্য ধাতব কাঠামোর ল্যাপটপ যুত্সই হবে।
আপনার ল্যাপটপ যদি বাড়ির সকলেই ব্যবহার করে তবে তা ধাতব কাঠামো ও করপোরেট মডেলের হলে ভালো হবে। প্রচলিত প্রায় সব ল্যাপটপের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়নের হয়ে থাকে। এতে যত বেশি সেল (৪-১২) থাকবে, ব্যাটারি তত বেশি সময় চার্জ ধরে রাখতে পারবে।
ব্র্যান্ড
পুরোনো ল্যাপটপ কেনার সময় সতর্ক থাকুন। ওয়ারেন্টি দেখে নিন। পরিচিত ব্র্যান্ডের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ কেনার আগে তাদের বিক্রয় পরবর্তী সেবা ও অতীতে তাদের ল্যাপটপ বিক্রির রেকর্ড সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো হবে।
কেনার সময় অবশ্যই ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জার, ব্যাগ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যা আপনার ল্যাপটপের সঙ্গেই পাচ্ছেন তা বুঝে নেবেন। এ ছাড়া সব সময় অনুমোদিত ডিলার, আমদানিকারক, বিশ্বস্ত মাধ্যম বা দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনুন।
টাচস্ক্রিন
আপনি যদি টাচ বা স্পর্শ করে পণ্য চালাতে পছন্দ করেন, তবে টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনার জন্য ভালো হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উইন্ডোজ ৮ ইন্টারফেসের টাইল ও জেশ্চার আপনার টাচস্ক্রিন অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে এবং তা সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপগুলোতে ওয়েব পেজ ব্যবহার করা সহজ।
এ ছাড়াও ছবি ও ডকুমেন্টস দেখতেও সুবিধা হয়। টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনি কিবোর্ডযুক্ত ল্যাপটপ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে টাচস্ক্রিন সুবিধার ল্যাপটপ পাবেন। সাধারণত সিনেমা দেখা, গান শোনা, ইন্টারনেট ব্যবহার করাসহ ছোটখাটো কাজের জন্য কম দামের ল্যাপটপ কেনাই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে ১৫ ইঞ্চি পর্দার মনিটরসহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন।
তথ্য ধারণ ক্ষমতা
ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তাতে কতটুকু তথ্য আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন। এখনকার দিনে ১৫.৬ ইঞ্চি ল্যাপটপ ছাড়া অপটিক্যাল ড্রাইভের ব্যবহার কম দেখা যায়। এখন হার্ডড্রাইভের পরিবর্তে ফ্ল্যাশ ভিত্তিক ড্রাইভ এসএসডিও ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। ফ্ল্যাশ স্টোরেজ দামি হলেও এর নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম। এর আকার ছোট এবং কাজ করে দ্রুত।
অপারেটিং সিস্টেম
অনেকেই অল্প কিছু অর্থ সাশ্রয়ের জন্য  প্রি-লোডেড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপ কেনেন না। কিন্তু নিজে থেকে ওএস এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ইনস্টল করা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। ল্যাপটপ কেনার সময় আপনি যে অপারেটিং সিস্টেমে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটি ইনস্টল করুন।
ল্যাপটপের আকার
যদি বাড়ি বা অফিসের জন্য ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবেন তবে ল্যাপটপের আকার বড় হওয়া ভালো। এতে চোখের সুবিধা হবে এবং কাজের জন্য সুবিধা পাবেন। যদি কোনো প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য ল্যাপটপ কিনতে হয় তবে তা হালকা-পাতলা ও ছোট স্ক্রিনের হলে ভালো হয়।
ফিচার
ভালো একটি ল্যাপটপে ইনটেল বা এএমডির মাল্টিকোর সিপিইউ থাকলে ভালো। ৩-৪ টি ইউএসবি পোর্ট এবং ল্যাপটপটি দ্রুতগতির কিনা তা দেখে নেওয়া বাঞ্চনীয়। সাধারণত উচ্চ রেজ্যুলেশনের গেম খেলা, ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য উচ্চ গতির ল্যাপটপ কেনা জরুরি। এ জন্য প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩.০ গিগাহার্টজ বা এর বেশি হলে ভালো হয়।
প্রসেসর কোন সিরিজের (কোর আইথ্রি, ফাইভ, সেভেন) তা জেনে নেওয়াও জরুরি। কেনার আগে অবশ্যই গ্রাফিকস সক্ষমতা কেমন দেখে নেবেন। ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য কমপক্ষে ৪ গিগাবাইটের ডিডিআরথ্রি র্যাম হলে ভালো হবে।
Share:

কম্পিউটার এর কিছু পরিচিত এবং জানা অজানা সমস্যা যেভাবে সমাধান করবেন নিজে নিজেই (মেগা টিউন)

আপনি এক যুগের পুরনো পিসি ব্যবহার করেন কিংবা নিজস্ব কাস্টোম বিল্ট পিসি ব্যবহার করেন, কিংবা অন্য যেকোনো ধরনের পিসি ব্যবহার করেন না কেনো, পিসির ট্রাবলশুটিং হলো আপনার প্রাত্যহিক কমপিউটিং জীবনেরই একটা অংশ। আর তাই টিউনারপেজের এ লেখাটি উপস্থাপন করা হয়েছে পিসির সাধারণ সমস্যা যেভাবে নিজেই সমাধান করতে পারবেন, তার ওপর ভিত্তি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী সাধারণ পিসি ব্যবহারকারীরা যে ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন, সেসব সমস্যার মধ্য থেকে অন্যতম ১০টি সমস্যার সামাধান ব্যবহারকারী নিজেরাই করতে পারবেন। এগুলোই তুলে ধরা হয়েছে এ লেখায়।
প্রথমে যা চেষ্টা করতে হবে
পিসির ট্রাবলশুটিংয়ের যেকোনো কাজ শুরু করার আগে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তাহলো পিসি রিস্টার্ট করা, যা হয়তো আমরা অনেক সময় বিবেচনায় আনি না। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল সাপোর্ট বিশেষজ্ঞ ম্যাথিও প্যাটরি বলেন, বেশিরভাগ কমপিউটার ব্যবহারকারী সাধারণ সাদামাটা কৌশল প্রয়োগ করে তার পিসির সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দিস লং-স্ট্যান্ডিং ম্যাক্সিম ক্যান ওয়ার্ক ওয়ান্ডার’।
অপারেটিং সিস্টেমের আপডেটের জন্য নিয়মিতভাবে সিস্টেম চেক করা এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেননা এ কাজটি করতে ভুলে গেলে পিসির পারফরম্যান্সে বেশ ক্ষতি হতে পারে। পিসি ব্যবহারকারীদের উচিত কাজ করার সময় অপারেটিং সিস্টেম যাতে পুরোপুরি আপডেট থাকে, তা নিশ্চিত করা। এজন্য উইন্ডোজ আপডেট রান করানো উচিত। আপডেটের ব্যাপারে অবহেলা বা অসতর্ক থাকার কারণে আপনি বঞ্চিত হতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ বাগ এবং পারফরম্যান্স ফিক্স থেকে।
যদি আপনার সমস্যাটি পেরিফেরাল সংশ্লিষ্ট হয়ে থাকে, তাহলে সমাধানের জন্য পেরিফেরালের সুইচ অন-অফ করে দেখতে পারেন। যদি এতে কাজ না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসকে ডিসকানেক্ট করে আবার কানেক্ট করুন। এতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে শেষ প্রচেষ্টা হলো সর্বশেষ ভার্সনের ড্রাইভার ডাউনলোড করে রিইনস্টল করুন।
কমপিউটার ধীরে কাজ করে
ধীরগতির কমপিউটার ফিক্স করার প্রথম পদক্ষেপ হলো মেশিন ভেরিফাই করে দেখা যে সমস্যার প্রকৃত উৎস কোথায়? ভিডিও সেকেলে হয়ে গেলে এবং ওয়েবসাইট লোড হতে প্রচুর সময় নিলে ধরে নিতে পারেন সমস্যার কারণ আর যাই হোক আপনার কমপিউটারের ত্রুটির জন্য হয়নি। গিক স্কোয়াড (Geek Squad) এজেন্টের ড্রেক মিয়েস্টার (Derek Meister) দাবি করেন, অনেক ব্যবহারকারী ভুল করে ধীরগতির সিস্টেমকে শনাক্ত করেন সমস্যা হিসেবে, যা মূলত কমপিউটারের সমস্যা নয় বরং ব্রডব্যান্ড কানেকশনের সমস্যা। যার কারণে ডাউনলোড হতে দীর্ঘ সময় নেয়। ধীরগতির কানেকশনকে ডায়াগনাস করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন Speedtest.net নামের এক টুল।
যদি সমস্যাটি আপনার পিসির হয়ে থাকে, তাহলে চেক করে দেখুন আপনার অপারেটিং সিস্টেম যে ড্রাইভে আছে, সেখানে পর্যাপ্ত স্পেস রয়েছে কি না। যখন সিস্টেম রানিং অবস্থায় থাকে, তখন উইন্ডোজের জন্য যথেষ্ট স্পেস দরকার হয়, যাতে ফাইল তৈরি করা যায়। যদি হার্ডডিস্কের স্পেস সর্বোচ্চ মাত্রায় ব্যবহার হয় এবং ডাটা ধারণ করার মতো কোনো স্পেস ফাঁকা না থাকে, তাহলে পিসির পারফরম্যান্স কিছুটা ব্যাহত হবে। এমন অবস্থায় কিছু স্পেস পরিষ্কার করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
যদি কমপিউটারের অপারেটিং সিস্টেম সি : ড্রাইভে প্রয়োজনের তুলনায় প্রচুর উপাদানসহ অবস্থান করে, তাহলে কিছু স্পেস খালি করলে অপারেটিং সিস্টেমের পারফরম্যান্স কিছুটা বাড়তে পারে। মাইক্রোসফটের সিস্টেম কনফিগারেশন টুল পরবর্তী সেরা প্রচেষ্টা হতে পারে ধীরগতির পিসির পারফরম্যান্স সমস্যাকে কুপোকাত তথা মোকাবেলা করার। মেশিন বুটআপের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রচুর অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়, যা বুটআপ সময়কে দীর্ঘায়িত করে। বিশেষ করে তুলনামূলকভাবে পুরনো ও ধীরগতির পিসির ক্ষেত্রে। স্টার্টআপ আইটেমকে ছেঁটে পরিপাটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এজন্য Windows-R চেপে টুল ওপেন করুন। এবার msconfig টাইপ করে এন্টার চাপুন।
এবার পিসির পারফরম্যান্স দমনকারী সম্ভাব্য কারণগুলো চিহ্নিত করার সেরা উপায় হলো স্টার্টআপ আইটেম এবং ম্যানুফেকচারার কলামগুলো চেক করা এবং সম্ভাব্য উপাদানগুলো নিরাপদে ডিজ্যাবল করা। মাইক্রোসফট কর্পোরেশন যেসব সার্ভিস ও প্রোগ্রামকে ম্যানুফেকচারার আইটেম হিসেবে লিস্টেড করেছে, সেগুলোর সাথে যাতে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু কিছু আইটেম যেমন AdobeAAMUpdates গুগল আপডেট, প্যান্ডো মিডিয়া বুস্টার, স্পোটিফাই এবং স্টিম ক্লায়েন্ট বুট স্ট্র্যাপার ইত্যাদি সবই গেম, যদি আপনি নিশ্চিত হতে না পারেন কোন সার্ভিস বা প্রোগ্রাম ডিজ্যাবল করা যাবে, তাহলে তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
মেশিন বারবার রিস্টার্ট হলে
হার্ডওয়্যার সংশ্লিষ্ট সমস্যা ডায়াগনাস ও সমাধান করা বেশ জটিল। প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি উইন্ডোজের সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহার করছেন কী-না, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমপিউটার রিস্টার্ট করবে ইনস্টলেশনের সময়। এরপর সিস্টেম ড্রাইভার আপডেটের জটিল সব কাজ করুন। যেমন গ্রাফিক্স কার্ড, মাদারবোর্ড এবং নেটওয়ার্ক কার্ড ড্রাইভার ইত্যাদি সব।
গিক স্কোয়াডের মিয়েস্টার বলেন, মেশিন বারবার রিস্টার্ট হওয়ার পেছনে কারণ হতে পারে কখনও ভাইরাসজনিত, কখনও অ্যাডওয়্যারজনিত, কখনও কখনও সিস্টেম খুব বেশি গরম হওয়ার কারণে। আবার কখনও হতে পারে ভিডিও কার্ডের কারণে। ভিডিও কার্ড আপগ্রেড করলে যেমন সমস্যার সমাধান হতে পারে, তেমনই এখানে উল্লিখিত কাজগুলো খুব সহজে সমাধান হতে পারে।
ইদানীংকার কমপিউটারের সাথে সম্পৃক্ত থাকে সেইফগার্ড, যা সিস্টেমকে শাটডাউন করে যদি কোনো কম্পোনেন্ট খুব গরম হয়ে পড়ে। সিস্টেম খুব বেশি গরম হয়ে পড়লে ঘন ঘন রিস্টার্ট হতে পারে, বিশেষ করে যখন প্রচুর রিসোর্স ব্যবহারকারী প্রোগ্রাম যেমন ইনটেনসিভ প্রোগ্রাম বা ভিডিও গেম রান করে সুদীর্ঘ সময় ধরে।
ডেস্কটপে পপআপ অ্যাডস আবির্ভূত হওয়া
ওয়েব ব্রাউজার রান না করার পরও যদি পপআপ অ্যাড দেখায়, তাহলে ধরে নেয়া যায় সম্ভবত আপনি অ্যাডওয়্যার ইনস্টল করেছেন। অ্যাডওয়্যার হলো একটি প্রোগ্রাম, যা অনাকাঙিক্ষত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। যদিও কিছু ক্ষতিকর নয় এমন অ্যাডওয়্যার বিদ্যমান রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যাডওয়্যাগুলো তেমন ভালো নয়। অ্যাডওয়্যার থেকে সহজে পরিত্রাণের কোনো উপায়ও নেই।
বর্তমানে শত শত ছোট সিস্টেম ইউটিলিটি টুল রয়েছে আমাদের চারপাশে, যা দাবি করে সবকিছু পরিষ্কার করতে পারে, যেমন পিসি স্পিডআপ, পিসি স্পিডপ্রো, পিসি স্পিডফায়ার ইত্যাদি। কিন্তু গিক স্কোয়াডের মিয়েস্টার বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব প্রোগ্রাম তেমন কার্যকরভাবে কিছুই করতে পারে না যেমনটি এরা দাবি করে থাকে। কিছু প্রোগ্রাম কাজ করে, তবে অন্যগুলো তেমন কার্যকর নয়।
পিসির গতি বাড়ায় বা রেজিস্ট্রি পরিষ্কার করতে পারে এমন কিছু দাবি করা হয় যেসব প্রোগ্রামে, সেগুলো ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বিশ্বস্ত অ্যাডওয়্যার স্ক্যানার, যেমন ম্যালওয়্যারবাইটের অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার টুল। প্রথম কাজ হিসেবে বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে ফুল স্ক্যান রান করুন। যদি এই প্রোগ্রাম অ্যাডওয়্যার খুঁজে বের করতে এবং রিমুভ করতে না পারে, তাহলে ফ্রি টুল ম্যালওয়্যারবাইটের অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। এই টুল সব ধরনের ম্যালওয়্যার রিমুভ করতে পারে কার্যকরভাবে। তবে এই টুল রান করার আগে স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ডিজ্যাবল করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
মাল্টিপল অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম একই সময়ে রান করালে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ প্রসঙ্গে ফ্যালকন নর্থওয়েস্টের প্যাট্রিস বলেন, আপনার দরকার সিস্টেমে একটি সক্রিয় রিয়েল-টাইম অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যানার ইনস্টল করা। তবে একটি বাড়তি ‘অন ডিম্যান্ড’ ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার স্ক্যানারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। যদি আপনার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তাহলে আপনার সামনে সব সময় একটি অপশন রয়েছে, তাহলো সিস্টেম রিইনস্টল করা পুরোপুরিভাবে। তবে এ কাজটি সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় নিতে পারে। তবে এটি একমাত্র নিশ্চিত উপায় অ্যাডওয়্যার বা স্পাইওয়্যার রিমুভ করার। তবে যাই করুন না কেনো, আপনার পার্সোনাল সব ফাইল ব্যাকআপ করার কথা সবসময় মনে রাখা উচিত।
গুগলকে ঠিক মনে না হওয়া
ব্রাউজার হাইজ্যাকারেরা হলো সবচেয়ে জঘন্য বা বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার বিস্তারকারী। এ ধরনের প্রোগ্রাম আপনার ওয়েব ব্রাউজার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং গোপনে আপনার গুগল সার্চ রিডাইরেক্ট করে ও অন্যান্য কোয়েরি ভুয়া পেজে নিয়ে যায়, যার অর্থ হলো পার্সোনাল তথ্য হাতিয়ে নেয় বা আপনার সিস্টেমকে আবার আক্রান্ত করে।
এমন অবস্থায় নিরাপদ থাকার সেরা কৌশল হলো রিয়েল-টাইম অ্যান্টিভাইরাস রান করানো। যদি আপনার ব্রাউজার ইতোমধ্যেই হাইজ্যাক হয়ে থাকে, তাহলে ব্রাউজারকে আনইনস্টল করুন এবং আপনার অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামের সাথে ম্যালওয়্যারবাইট প্রোগ্রাম ব্যবহার করুন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে অপসারণ করার জন্য।
ওয়াই-ফাই কানেকশন বিচ্ছিন্ন হলে
অসম গুণের ওয়্যারলেস কানেকশন আপনাকে হতবিহবল করতে পারে। ওয়্যারলেস সংযোগ কী কমপিউটারের সাথে? রাউটারের সাথে? আপনার আইএসপির সাথে? ইত্যাদি প্রশ্ন বিবেচনায় আনতে হবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারকে অভিযোগ জানানোর আগে। উইন্ডোজ নেটওয়ার্ক ডায়াগনাস টুল সব সময় আপনার সমস্যা সমাধান করতে নাও পারে।
তবে এটি সচরাচর আপনাকে দেখিয়ে দিতে পারে সঠিক ডিরেকশন। প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার কমপিউটার ওয়্যারলেস রাউটারটি সীমার মধ্যে আছে কি না। দুর্বল সিগন্যালের অর্থ হচ্ছে দুর্বল সংযোগ। এরপর আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে, পিসির ওয়্যারলেস কার্ডের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে সর্বশেষ ড্রাইভার। এবার টাস্কবারে ওয়াই-ফাই আইকনে ডান ক্লিক করে সিলেক্ট করুন Troubleshoot problems।
প্রিন্টার কাজ করছে না
ধরে নিচ্ছি আপনার প্রিন্টার ড্রাইভার আপ-টু-ডেট এবং পেপার ট্রেতে যথেষ্ট কাগজ যেমন আছে, তেমনই কালি বা টোনারও কাজ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত। তারপরও প্রিন্ট হচ্ছে না। এমন অবস্থায় প্রিন্টারকে অফ ও অন করুন। প্রিন্টারকে আনপ্লাগ করে আবার প্লাগ করুন। সিস্টেম ট্রেতে প্রিন্টার আইকনের খোঁজ করুন এবং প্রিন্টারের প্রিন্ট কিউই চেক করুন। এরপর প্রিন্ট কিউইতে ডাবল ক্লিক করুন। প্রিন্ট কিউই প্রতিটি কাজের স্ট্যাটাস যেমন দেখাবে, তেমনই প্রিন্টারের সাধারণ স্ট্যাটাসও দেখাবে।
প্রিন্টার সমস্যা ট্রাবলশুট করার সেরা উপায় হলো প্রিন্ট কিউই চেক করা। এ ক্ষেত্রে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ওটংব চৎরহঃবৎং ঙভভষরহবহ সিলেক্ট করা নেই। এজন্য খেয়াল করে দেখুন যে ‘Use Printer Offline’ চেক করা নেই। কখনও কখনও প্রিন্টার অফ থাকাকালে প্রিন্ট করলে উইন্ডোজ প্রিন্টারকে অফলাইনে সেট করে, যাতে অফলাইনে কাজ করতে পারে, যা আপনার কাজকে অন্তরালে রাখে এবং পরে পাঠায় প্রিন্টের জন্য।
ই-মেইল অ্যাটাচমেন্ট ওপেন করতে না পারা
কখনও কখনও অ্যাটাচমেন্ট ফাইলকে ওপেন করা যায় না। এমন সমস্যার কারণ হলো অ্যাটাচমেন্ট ফাইল ভিউ করার জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার না থাকা। যদি আপনার অ্যাডোবি রিডার বা অন্য পিডিএফ কম্প্যাটিবল প্রোগ্রাম না থাকে, তাহলে আপনি ওই টিপিএস (TPS) রিপোর্ট ওপেন করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে সাধারণত সন্দেহ করা হয় .ঢ়ফভ ফাইলকে। এ জন্য আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে ফ্রি পিডিএফ রিডার সফটওয়্যার। যদি সমস্যাটি অন্য ফাইল ফরম্যাটের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে অ্যাটাচমেন্ট ফাইল এক্সটেনশন খোঁজ করে দেখুন, যা আপনাকে বলে দেবে কোন ধরনের প্রোগ্রাম আপনার দরকার।
পিসিতে ফেভারিট প্রোগ্রাম কাজ না করলে
কোনো প্রোগ্রাম পিসিতে কাজ না করলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়ার আগে প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি যে সফটওয়্যার রান করাতে চেষ্টা করছেন তা অপারেটিং সিস্টেমের সাথে কম্প্যাটিবল কি না। পুরনো সফটওয়্যার উইন্ডোজ ৮-এর ভালোভাবে কাজ নাও করতে পারে। ম্যাক ওএস এক্সের জন্য তৈরি করা অ্যাপ অবশ্যই উইন্ডোজ পিসিতে রান করবে না। একটি ৩২ বিটের প্রোগ্রাম ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমে রান করতে পারে। তবে অন্য কোনো ক্ষেত্রে এটি কাজ নাও করাতে পারে।
মনে রাখবেন, সব ধরনের ফাইল উইন্ডোজে কাজ করে না। উদাহরণস্বরূপ, যেসব ফাইলের এক্সটেনশন .app, সেগুলো বিশেষভাবে ম্যাক ওএস এক্সের জন্য। যদি একটি অনলাইন গেম বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তাহলে ধরে নিতে পারেন এমন সমস্যা হয়েছে সম্ভবত প্রয়োজনীয় প্লাগইনের অভারের কারণে। সাধারণত জাভা ও ফ্ল্যাশ হলো নষ্টের মূল। বেশিরভাগ ব্রাউজার আপনাকে সতর্ক করে দেবে এসব আইটেম ইনস্টল করার জন্য, যদি প্রয়োজন হয়
ডাউনলোড হতে দীর্ঘ সময় নেয়
যদি কানেকটিভিটি সমস্যা থাকে, তাহলে সেরা উপায় হলো Speedtest.net টুল ব্যবহার করা। আপলোড ও ডাউনলোড স্পিড কত তা জানার জন্য স্পিড টেস্ট রান করুন। আদর্শগতভাবে বলা যায়, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের বিজ্ঞাপনে যে স্পিডের কথা উল্লেখ করা হয় তার ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত। যদি স্পিড সলিড মনে হয়, তাহলে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি অসাবধানবশত কোনো কিছু ডাউনলোড বা আপলোড করছেন না। কিছু টরেন্ট ডাউনলোডিং প্রোগ্রাম ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে এবং টাস্কবারের পরিবর্তে সিস্টেম ট্রেতে মিনিমাইজ করুন।
একটি ভালো স্পিড টেস্ট দেবে পিং ডাউনলোড স্পিড ও আপলোড স্পিডের নির্ভুল অ্যাসেসমেন্ট। সুতরাং আপনার নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার চেক করুন। এ ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক কার্ড আপডেট করার অর্থই সব কাজ নয়। তবে আপনার কার্ডের প্রস্ত্ততকারক যদি নতুন ড্রাইভার অফার করে, তাহলে তা ডাউনলোড করে নিন। রাউটার ও মডেম রিসেট করলে কানেকশন সমস্যায় কিছু সহায়তা পেতে পারেন। বেশিরভাগ রাউটার ও মডেমে রিসেট বাটন সম্পৃক্ত থাকে, তবে পাওয়ার ক্যাবল এক বা দুই সেকেন্ডের জন্য খুলে ফেললেও রিসেটের মতো একই কাজ করবে।
তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য পাওয়ার কাট অফ করা ঠিক হবে না বা হার্ডওয়্যার নিজেই ফ্যাক্টরি ডিফল্টে রিসেট হবে। এরপরও যদি সমস্যা থেকেই যায়, তাহলে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
Share:

পকেটে রাখলেই চার্জ হবে স্মার্টফোন

স্মার্টফোন পকেটে রাখলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ হতে থাকবে। ব্যাপারটি অদ্ভূত ও আশ্চর্য জনক মনে হলেও এমনই একটি প্রযুক্তি শিগগিরই বাজারে আনতে যাচ্ছে কয়েকটি কোম্পানী। যা মূলত বেতার তরঙ্গকে ব্যাটারি চার্জিংয়ের উপযোগী করে রূপান্তরের মাধ্যমে চার্জিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে স্মার্টফোনের ব্যাটারি চার্জিংয়ের জন্য স্মার্টফোনে বিশেষ একটি রিসিভার এবং একটি অ্যান্টেনা ব্যবহৃত হবে। বিশেষ ধরনের এই অ্যান্টেনা ওয়াইফাই এবং অন্যান্য সেলুলার সিগন্যালকে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত রিসিভার ডিসি পাওয়ারে রূপান্তর করবে।
এটি এক ধরনের তারহীন চার্জিং ব্যবস্থা। এর মধ্যেই পাওয়ার ম্যাট, পাওয়ার প্যাড প্রভৃতির মাধ্যমে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা প্রদান করেছে বেশকিছু কোম্পানি। এমনকি ফার্নিচারেও ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের সুবিধা দিয়েছে আইকিয়া নামের একটি কোম্পানি।
 তবে নতুন এই প্রযুক্তিতে স্মার্টফোন পকেটে থাকা অবস্থাতেই চার্জ হতে থাকবে। শুনতে এখনও অনেকটাই কল্পনার মনে হলেও নতুন এই প্রযুক্তির বাজারে আসতে খুব বেশিদিন সময় লাগবে না বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
এই তারবিহীন চার্জিং ডিভাইস নির্মাণে এনারজাস ও নিকোলা ল্যাবসের মতো ছোট-বড় বেশকিছু কোম্পানি কাজ শুরু করেছে । চলতি বছরে অনুষ্ঠিত কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স শোতে(সিইএস) পরীক্ষামূলক এ চার্জিং পদ্ধতি উপস্থাপিত হয়েছে।
এর মধ্যে এনারজাসের মডেলটি প্রদর্শনীর অন্যতম সেরা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির স্বীকৃতি লাভ করে।
চলতি বছরের শেষের দিকে ওয়্যারলেস চার্জার এবং বিশেষ ধরনের ফোন কেসিং ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে নিকোলা ল্যাবসও আগামী বছরের মধ্যেই তাদের ওয়্যারলেস চার্জিং ডিভাইস বাজারে আনার কথা জানিয়েছে। এর জন্য অবশ্য তারা কিকস্টার্টার ক্যাম্পেইনের সহায়তা গ্রহণ করবে।
Share:

উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড পাবে যেসকল লুমিয়া এবং মাইক্রোসফট ফোন

গত মাসের শেষের দিকে মাইক্রোসফট আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেছে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম। ইতোমধ্যেই ডেস্কটপের জন্য উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড উন্মুক্ত করা হলেও মোবাইল ডিভাইসে আপগ্রেড পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
যেসকল লুমিয়া স্মার্টফোন প্রথমেই আপডেট পাবে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মাইক্রোসফট। স্মার্টফোনগুলো হল-
  • লুমিয়া ৪৩০
  • লুমিয়া ৪৩৫
  • লুমিয়া ৫৩২
  • লুমিয়া ৫৩৫
  • লুমিয়া ৫৪০
  • লুমিয়া ৬৪০
  • লুমিয়া ৬৪০ এক্সএল
  • লুমিয়া ৭৩৫
  • লুমিয়া ৮৩০
  • লুমিয়া ৯৩০
শীঘ্রই এই তালিকায় যুক্ত হবে আরও কিছু উইন্ডোজ ফোন, এমনটাই জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড

উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেড
জেনে রাখা ভালো, উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের দুনিয়ায় ঝাঁপ দিয়েছেন ১ কোটি ৪০ লাখ ব্যবহারকারী। জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। মাইক্রোসফটের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নতুন এ অপারেটিং সিস্টেমটি অবমুক্ত করার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১ কোটি ৪০ লাখ ইউজার এটিতে আপগ্রেড করতে সফল হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। উইন্ডোজ ১০ সম্পর্কে গোটা পৃথিবী থেকেই মানুষের উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ আমাদের মুগ্ধ করছে। পৃথিবীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইন্ডোজ ১০-এ আপগ্রেড করার জন্য সম্ভাব্য সব কিছুই আমরা করব। এদিকে উইন্ডোজ ১০ বেড়তে না বেড়তেই অনেক ব্যবহারকারীই কিছুটা বিপাকে পড়ছেন। পরিবারের নতুন এ অতিথির সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ এর ফাইন টিউনিং এখনও বাকি রয়ে গেছে। বেশকিছু বাগ দেখা দিয়েছে সর্বাধুনিক এ অপারেটিং সিস্টেমে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটও বেশ তড়িঘড়ি করে এসব বাগ সমাধান করতে একটি প্যাঁচ ছেড়েছে তার ভোক্তা সাধারণের জন্য। মজার ব্যাপার হল, প্যাঁচটির আয়তন রীতিমতো দশাসই। ১ গিগাবাইট। ভাবা যায়! ধারণা করা হচ্ছে এরপর আর বড়সড় কোনো বাগের সামনে পড়তে হবে না উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের। তবে ছোটখাটো বাগের দেখামেলা এমন কিছু অসম্ভবও নয়।
উইন্ডোজ ১০ সংক্রান্ত সকল সমস্যা ও জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই টিউমেন্ট করুন। মাইক্রোসফট এর এ এক মাইল ফলক কার্যক্রম। ফ্রীওয়ার এর দুনিয়ায় মাইক্রোসফট এর ও এক সময় নাম লিখাতে হবে। প্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন কোম্পানি নিত্যনতুন উদ্যগ গ্রহণ করার পাশা পাশি তা বাস্তবায়ন ও করছে। যেকনো সমস্যার সমাধানে নিয়মিত ভিসিট করুন যুগটেক এ। যুগ পাঠক আজ এই পর্যন্তই। দেখা হবে নতুন প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য নিয়ে।
Share:

যা যা ডিসেবল করা দরকার উইন্ডোজ ১০ এ কারণ সহ পর্ব এক

সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন ;
অনেকদিন হলো আমার কোনো নতুন টিউন নেই দেখে যদি ভাবেন অভিষেক হাজরা [jibonre] গায়েব হয়ে গেল
তাহলে ভুল ভাববেন, কারণ আমি আছি বন্ধুরা টেকটিউনের সাথে টেকটিউনের পাশে।
আসলে অনেক পড়াশোনা করে তবে এই টিউন টা করলাম, একটু মন দিয়া পড়বেন কিন্তু না হলে বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।
আজ  প্রথম পর্বে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এ কি কি Disable করেবেন আর কেনই বা Disable করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
যা যা Disable করা দরকার উইন্ডোজ ১০  সেই গুলি হলো নিম্নলিখিত,
1. Wi-Fi Sense
2. Bandwidth Sharing for Updates
3. Automatically-Applied Updates
4. Getting to Know You Features
5. Targeted Ads
6. App-Access to Your Location, Microphone, & Webcam
7. Unwanted Background Apps
1. Wi-Fi Sense
প্রথম সন্দেহজনক উইন্ডোজ 10 বৈশিষ্ট্য "ওয়াই ফাই সেন্স "
মাইক্রোসফট ডিফল্টরূপে এই বৈশিষ্ট্য সক্রিয় করেছে ; সংক্ষেপ, আপনার নেটওয়ার্ক পাসওয়ার্ড এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার সামাজিক মিডিয়া বন্ধুদের সাথে ভাগ করা যেতে পারে, ভাগ করার সময় পাসওয়ার্ড নিরাপদভাবে মাইক্রোসফট এর সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়, আমি বা আপনারা কখন চাইবেন না যে আপনার পাসওয়ার্ড মাইক্রোসফট এর সার্ভারে সংরক্ষণ করা হোক, সে যে কারণেই হোক না কেন . তাই  Disable Wi-Fi Sense .
2. Bandwidth Sharing for Updates
দ্বিতীয় উইন্ডোজ 10 বৈশিষ্ট্য " ব্যান্ডউইথ শেয়ারিং ফর আপডেটস "
উইন্ডোজ এখন আপডেট ডাউনলোড করার জন্য পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, Torrent প্রোগ্রাম অনুরূপ, আর তাই উইন্ডোজ আপডেট ফাইল ডাউনলোড করার সময়, আপনি অন্য ব্যবহারকারীদের এটি অংশ আপলোড করে দিবেন,ফলে আপনার অপ্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ ব্যবহার ব্যয়বহুল হতে পারে,মানে আপনার ৩ জিবি ডেটা শেষ কিন্তু আপডেট ডাউনলোড মাত্র ১ জিবি কারণ আপনি তো আপলোড করে দিছেন ২ জিবি।
তাই  Disable Bandwidth Sharing for Updates
3. Automatically Applied Updates
 তৃতীয় উইন্ডোজ 10 বৈশিষ্ট্য " অটোমেটিক্যালি এপলাই আপডেট "
আপনি যদি অটোমেটিক আপডেট বন্ধ না করে থাকেন তো,  এই অপসন টা আপনার জন্য। [অটোমেটিক আপডেট বন্ধ করার জন্য এখানে ক্লিক করুন ]
কারণ অটোমেটিক আপডেট চালু থাকলে আপনি জানতেও পারবেন না যে কখন আপডেট ডাউনলোড কমপ্লিট হলো ফলে, আপডেট ইনস্টল হলে আপনার পিসি রিস্টার্ট হবে আর আপনার আনসেভ ডেটা হারানোর ঝুঁকি থাকবে। তাই Disable Automatically Applied Updates
4. Getting to Know You
চতুর্থ জটিল উইন্ডোজ 10 বৈশিষ্ট্য " গেটিং টু নো ইউ "
আপনার টাইপ হিস্ট্রি লগ, আপনার ভয়েস রেকর্ডিং সেভ, আপনার কন্টাক্ট ক্যালেন্ডার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা, এবং এমনকি আপনার হস্তাক্ষর, সব কিছুই, Cortana সঙ্গে আরও ব্যক্তিগত ও ভালো অভিজ্ঞতা দেবার নামে মাইক্রোসফট এর সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়, আমি বা আপনারা কখন চাইবেন না যে আপনার সকল তথ্য মাইক্রোসফট এর সার্ভারে সংরক্ষণ করা হোক, সে যে কারণেই হোক না কেন . তাই  Disable Getting to Know You
5. Targeted Ads
 পঞ্চম উইন্ডোজ 10 বৈশিষ্ট্য "টার্গেটেড অ্যাড "
মাইক্রোসফট আপনাকে সাহায্য করার জন্য একটি অনন্য বিজ্ঞাপন আইডি তৈরী করেছে আপনার জন্য, যার সাহায্যে আপনি খুব সহজে টার্গেটেড বিজ্ঞাপন পায়ে যাবেন, এমনকি আপনার পছন্দের বিসয় না হলেও । এই আইডি স্থায়ীভাবে মুছে ফেলা যাবে না, কিন্তু অন্ততপক্ষে, আপনি এই তথ্য অ্যাক্সেস করা থেকে থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন কে প্রতিরোধ করতে পারি । তাই  Disable Targeted Ads
6. App Access to Your Location, Microphone, & Webcam
ষষ্ঠ সন্দেহজনক উইন্ডোজ 10 বৈশিষ্ট্য " অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেস টু ইওর লোকেসন, মাইক্রোফোন, এবং ওয়েবক্যাম "
মাইক্রোসফট উইন্ডোজ 10 থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন আপনার মাইক্রোফোন, ওয়েবক্যাম, এবং অবস্থান অ্যাক্সেস করতে পারে, আমি বা আপনারা কখন চাইবেন না যে আপনার লোকেসন, মাইক্রোফোন, এবং ওয়েবক্যাম  থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুক, তাই  Disable " App Access to Your Location, Microphone, & Webcam "
7. Unwanted Background Apps
এই সর্বশেষ অপশনটি একটু কম গোপনীয়তা-ভিত্তিক, কিন্তু এটা ব্যাটারি জীবন এবং কার্যকারিতার উপর একটি বড় প্রভাব তৈরি করতে পারে,
অনেক "ইউনিভার্সাল " উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন আপনার কম্পিউটার চালু হলে পাশাপাশি শুরু হয়, এবং তা আপনার ল্যাপটপ এর ব্যাটারি উপর বড় প্রভাব ফেলে, এবং তা আপনার কম্পিউটার এর রেম উপর প্রভাব ফেলে তাই  Disable "Unwanted Background Apps"
সেটিং গুলা কিকরে Disable করবেন জানতে হলে এখানে ক্লিক করুন

এই টিউন টি করতে আমাকে কেউ রিকোয়েস্ট করেনি তবু আমার মনে হলো,
যে প্রতেকের একটা ব্যক্তিগত বলে জিনিস থাকে আর সেটা কেউই কারোর কাছে প্রকাশ করতে চাইবেনা,
সে মানুষ হোক বা মাইক্রোসফট এর মতো একটি কোম্পানি হোক না কেন এটা জানানো আমার কর্তব্য বলে মনে হল
তাই এই টিউনটি করলাম।
অবশ্যই টিউমেন্ট করবেন আর দয়া করে সবাই টিউমেন্ট করবেন ভালো না লাগলেও।
ব্যক্তিগত মতামত দিবেন [সেটাতো আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার দিতেই পারেন,]
ভালো লাগবে আর আমার এই টিউন যদি কারোর খারাপ লেগে থাকে তবে আমি একান্তই দুঃখিত। 
আমার কাউকে দুখিত করার কোনো প্রকার উদ্দেশা নেই।
Share:

Popular Posts

Powered by Blogger.

Translate

Labels

Recent Posts

Unordered List

  • Lorem ipsum dolor sit amet, consectetuer adipiscing elit.
  • Aliquam tincidunt mauris eu risus.
  • Vestibulum auctor dapibus neque.

Pages

Theme Support

Need our help to upload or customize this blogger template? Contact me with details about the theme customization you need.