২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া ৬ জুন থেকে শুরু হবে। এবার এসএমএস এর পাশাপাশি অনলাইনেও অাবেদন করা যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য।
যারা ভর্তি হতে পারবেঃ ২০১৫ সালের এসএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।
আবেদন পদ্ধতিঃ অনলাইন ও এসএমএস এ অাবেদন করা যাবে ।
আবেদনের সময়সীমাঃ ৬ জুন থেকে ১৮ জুন
ফলাফল প্রকাশঃ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিতদের তালিকা বা ফলাফল প্রকাশ হবে ২৫ জুন।
ভর্তির সময়সীমাঃ বিলম্ব ফি ছাড়া ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি চলবে।
অনলাইনে আবেদন : এই ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে- www.xiclassadmission.gov.bd
অনলাইনে ভর্তি আবেদনে পছন্দের ৫টি কলেজকে নির্বাচন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা কোন কলেজে ভর্তি হবে—তা নির্ধারণ করবে শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্য থেকেই একটি কলেজকে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত করবে বোর্ড। যদি কোনো শিক্ষার্থী আবেদনে উল্লেখ করা ৫টি কলেজের কোনোটিতেই ভর্তির যোগ্য হলো না, সে ক্ষেত্রে আসন শূন্য থাকা কলেজে ভর্তি হতে পারবে।
অনলাইনে ভর্তি আবেদনে পছন্দের ৫টি কলেজকে নির্বাচন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা কোন কলেজে ভর্তি হবে—তা নির্ধারণ করবে শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্য থেকেই একটি কলেজকে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত করবে বোর্ড। যদি কোনো শিক্ষার্থী আবেদনে উল্লেখ করা ৫টি কলেজের কোনোটিতেই ভর্তির যোগ্য হলো না, সে ক্ষেত্রে আসন শূন্য থাকা কলেজে ভর্তি হতে পারবে।
এসএমএসেও আবেদন করা যাবে : আগের মতো টেলিটক থেকে এসএমএস পাঠিয়েও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এ জন্য প্রতি আবেদনের (প্রতি কলেজের জন্য এক আবেদন) জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। আর অনলাইনে এক আবেদনেই পাঁচটি কলেজের নাম পছন্দক্রম অনুযায়ী দেওয়া যাবে। ফি ১৫০ টাকা। কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—সবার জন্যই একই নিয়মে আবেদন করতে হবে।
পুনর্নিরীক্ষণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি: যেসব শিক্ষার্থীরা ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করবে, তারা ২১ জুন পর্যন্ত ভর্তি আবেদনের সুযোগ পাবে। ৩১ মে ২০১৫ – ০৬ জুন ২০১৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন প্রক্রিয়া। পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল ২০ জুন প্রকাশিত হবে ।
ক্লাস শুরুর তারিখঃ ১ জুলাই থেকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
সংক্ষেপে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভর্তির নীতিমালা ২০১৫ঃ এবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়ে ০১ জুন সোমবার ভর্তি নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এবারের এসএসসিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ছাড়াও ২০১৩ ও ২০১৪ সালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো কলেজ চাইলে তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নূন্যতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। প্রত্যন্ত/অনগ্রসর অঞ্চলের সহশিক্ষার কলেজে ছাত্রীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
কারিগরি শিক্ষায় ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তিতে ৫০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং জিপিএ’র ভিত্তিতে বাকী ৫০ নম্বরের আলোকে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে।
ভর্তির জন্য আগামী ৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএস-এ আবেদন করতে হবে। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন তারা ২১ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।
আগামী ২৫ জুন ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে। আর বিলম্ব ফি দিয়ে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি চলবে।
ভর্তির জন্য টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করে ১৫০ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পছন্দক্রমে রাখতে পারবেন শিক্ষার্থী, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদনে খরচ পড়বে ১২০ টাকা।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, সাতটি বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অবশিষ্ট ১০ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
বিভাগীয় শহর ছাড়া জেলা শহরের কলেজগুলোতেও ৯০ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। বাকী ১০ শতাংশ বিভাগীয় সদরের কলেজের মতো একইভাবে পূরণ করা হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করে বিলম্ব ফি দিয়ে অন্য কলেজে ভর্তি হতে চাইলে অভিভাবকের সম্মতিসহ সংশ্লিষ্ট কলেজে আবেদন করতে হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যেকোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখার প্রার্থীরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পারবে। ব্যবসায় শিক্ষায় শাখার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সব বিষয়ের উপর সর্বোচ্চ ৪৮ গ্রেড পয়েন্ট ধরে জিপিএ’র ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে।
বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে।
আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে।
এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, স্কুল ও কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি ফি নেওয়া যাবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতনভাতা দেওয়ার জন্য ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফ করতে বলা হয়েছে।
কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফি’র বেশি নিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
No comments:
Post a Comment